শাস্তি প্রদানের উদ্দেশ্য কি??

শাস্তি প্রদানের উদ্দেশ্য কি??
:-    শাস্তি প্রদানের মূল উদ্দেশ্য বা লক্ষ্য দুটি-

১:  অপরাধী অপরাধ মূলক ক্রিয়া সম্পাদনের মাধ্যমে তার চরিত্রের যে নৈতিক অধঃপতন ঘটে তা সমাজকেও কুলুষিত করে এই নৈতিক অধঃপতন রোধ করার জন্য অপরাধীকে শাস্তি দেওয়া প্রয়োজন।



২:- অপরাধমূলক কাজ সামাজিক আইন শৃঙ্খলা কে লংঘন করে।সামাজিক আইন সামাজিক আইন শৃংখলার সব মহিমা বজায় রাখতে হলে অপরাধীর অপরাধ অনুসারে শাস্তিবিধান আবশ্যক।

পিটার সিঙ্গার এর মধ্যে নৈতিকতার মানদন্ড কি?

পিটার সিঙ্গার এর মধ্যে নৈতিকতার মানদন্ড কি?
:- 
       ১:-     সমাজে বসবাস করতে হলে অপরের প্রতি উদাসীন থাকলে চলবে না। নিজের মঙ্গলের সাথে অপরের মঙ্গলের কথা চিন্তা করতে হবে।
 
২:- ব্যবহারিক দৃষ্টিকোণ থেকে নৈতিক বিচারের তাৎপর্য উপলব্ধি করতে হবেঅর্থাৎ মানুষ মাত্রই নিজ প্রজাতির প্রতি বৈষম্যমূলক মনোভাব নিয়ে চলে তা পরিত্যাগ করে প্রত্যেক প্রাণের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে হবে ।

৩:- প্রাণ মাত্রই তা নিজস্ব মূল্যে মূল্যবান সেই কারণেই যে কোন প্রাণী হত্যায় নিন্দনীয় অপরাধ।


৪:- মানুষের যাবতীয় কর্মকান্ড জীবন যাপনের প্রণালী পরিবেশ নির্ভর। তাই প্রাকৃতিক পরিবেশকে সংরক্ষণ করা উচিত।

স্বধর্ম পরধর্ম কী?

স্বধর্ম পরধর্ম কী?
:-  ভারতীয় নীতিশাস্ত্রের চতুর্বর্ণ প্রথা প্রচলিত বর্ণাশ্রম অনুযায়ী প্রত্যেক বর্ণের সুনির্দিষ্ট কর্তব্যকর্ম রয়েছে। যেমন ব্রাহ্মণের কর্তব্য কর্মযজ্ঞ,পূজার্চনা ক্ষত্রিয়দের কর্তব্য কর্ম জাতিকে রক্ষা ও দেশ পরিচালনা করা। এইভাবে কর্তব্য কর্ম সম্পাদন করায় হল স্বধর্ম।

                            চতুর্বর্ণের বিধান অনুযায়ীপরিচালিত না হয়ে সাধারণ ভালো-মন্দ সুখ-দুঃখের পরিপেক্ষিতে কর্ম সম্পাদনের মাধ্যমে ধর্ম পালন করা হলো পরধর্ম।


                           আবার কোন কোন ভারতীয় নীতি তাত্ত্বিক মনে করেন বেদ বিহিত কর্ম সম্পাদন করাই হলো স্বধর্ম আর বেদ নিষিদ্ধ কর্মসম্পাদন করাই হলো পরধর্ম।

নৃ কেন্দ্রিক এবং অনৃ কেন্দ্রিক মতবাদের পার্থক্য লেখ?

নৃ কেন্দ্রিক এবং অনৃ কেন্দ্রিক মতবাদের পার্থক্য লেখ?
:- মানুষের নানা প্রয়োজনে প্রাকৃতিক সম্পদ ধ্বংস করা হচ্ছে,যার পরিণতিতে প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে কিন্তু মানুষের অস্তিত্ব কে বাঁচিয়ে রাখতে হলে প্রাকৃতির প্রতি কিছু দায়িত্ব পালন প্রয়োজন।প্রাকৃতিক সম্পদকে সংযত ভাবে ব্যবহার করা উচিত ।এই ধরনের দৃষ্টিভঙ্গির পরিপেক্ষিতে উদ্ভব ঘটেছে তাকে নৃ কেন্দ্রিক নীতিবিদ্যা বলে। এ ধরনের নীতিশাস্ত্র মনে করেন মানুষের জীবন মানুষের অস্তিত্বের জন্য ই প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণ করা উচিত।


                           অপরের দৃষ্টিভঙ্গি অনুসারে বলা হয় প্রকৃতি বা পরিবেশের প্রতি আমাদের নিঃস্বার্থ কিছু দায়িত্ব কর্তব্য আছে নিজও নিজও স্বার্থের বিবেচনাতে বা শুধুমাত্র মানবজাতির কল্যাণ এর জন্য নয়। সমতামূলক কর্তব্য বাদী দৃষ্টিভঙ্গি পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের পরিবেশের প্রতি কর্তব্য পালন করা উচিত। এ ধরনের দৃষ্টিভঙ্গির পরিপ্রেক্ষিতে গড়ে ওঠা নীতিশাস্ত্র হল অনৃ কেন্দ্রিক নীতিশাস্ত্র।

কৃপাহত্যা কি ? এর প্রকারভেদ লেখ?

কৃপাহত্যা কি ? এর প্রকারভেদ লেখ?
:-   কৃপাহত্যা এর ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো ইউথেনেশিয়া যা দুটি গ্রিক শব্দ নিয়ে গঠিত। যথা-eu-এর অর্থ হল মঙ্গল জনক। এবংthanats  যার অর্থ হলো মৃত্যু প্রাপ্তি।যে কর্মের দ্বারা কোন ব্যক্তির সহজ-সরল কম যন্ত্রণাদায়ক মৃত্যু ঘটানো হয় তাহলো কৃপাহত্যা বা সৌজন্যে মৃত্যু । যখন কোনো ব্যক্তি কে তার যন্ত্রণাদায়ক জীবন থেকে মুক্ত করার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে তার মৃত্যু ঘটানো হয় । সেই মৃত্যু হল ব্যবহারিক নীতিবিদ্যা দৃষ্টিভঙ্গি থেকে কৃপাহত্যা।

               কৃপাহত্যা তিন প্রকার যথা-

১: ঐচ্ছিক কৃপাহত্যা যেখানে ব্যক্তির নিজস্ব ইচ্ছা অনুসারে জীবনের অবসান ঘটে।

২: অনৈচ্ছিক কৃপাহত্যাযেখানে ব্যক্তি যন্ত্রণা পরিবারের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার পরিপেক্ষিতে ব্যক্তির মত না যেনে তার জীবনের অবসান ঘটানো হয়।


৩:- ইচ্ছা নিরপেক্ষ কৃপাহত্যা যেখানে ব্যক্তির ইচ্ছা-অনিচ্ছা প্রকাশের মতো পরিস্থিতি থাকেনা ব্যক্তির কাছে বেঁচে থাকা এবং মৃত্যু দুটিই সমান তাকে ইচ্ছা নিরপেক্ষ কৃপাহত্যা বলে।

মানবাধিকার কি?

মানবাধিকার কি?
:-1948 খ্রিস্টাব্দে সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের মানবাধিকার সংক্রান্ত ঘোষণাপত্রে বলা হয়েছে- সাধারণভাবে মানুষ তার গুণাবলী, বুদ্ধি ,প্রতিবাদ আতিক বিশ্বাস ঘটানোর জন্য সে সকল অধিকার সকলে ভোগ করে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকার জন্য সে সকল সহজাত সর্বজনীন অধিকার মানুষকে দেওয়া প্রয়োজন সেগুলো মানবাধিকার।দুর্গাদাস বসুর মতে মানবাধিকার হল সেইসব ন্যূনতম অধিকার যেগুলি মনুষ্য পরিবারের একজন সদস্য হিসেবে প্রতিটি ব্যক্তি রাষ্ট্র বা  অন্য সরকারী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ভোগ করে থাকে।যুগ যুগ ধরে বিভিন্ন দার্শনিক সমাজ সংস্কার রাষ্ট্রচিন্তাবিদ মানবাধিকারের জন্য সংগ্রাম করেছেন। এভাবে মানুষের স্বভাবগত সহজাত অধিকার গুলি ধীরে ধীরে মানবাধিকারের রূপলাভ করেছে।

সত্যাগ্রহ কি?

সত্যাগ্রহ কি?

:-  যীশু টলস্টয় প্রমূখ ব্যক্তির চিন্তাধারার দ্বারা প্রভাবিত হয়ে গান্ধীজী সত্যাগ্রহের ধারণা গড়ে তোলেন।আক্ষরিক অর্থে সত্যাগ্রহ বলতে বোঝায় সত্যের প্রতি আগ্রহ। এই অর্থে দৃঢ়ভাবে সত্যকে অনুসরণ, সত্যের প্রতি চরম আনুগত্য প্রদর্শন প্রভৃতি হলো সত্যাগ্রহ।

                      অন্যায় কারী ব্যক্তির মধ্যে
ন্যায়-নীতি কে জাগিয়ে তুলে সত্যের প্রতি শ্রদ্ধা বিনম্রতা এই ধরনের মনোভাব গড়ে তোলাই হল সত্যাগ্রহ। বলা যায় কোন অংশ সমাজ ব্যবস্থার নেই নীতির প্রধান ভিত্তি হলো সত্যাগ্রহ।



_                 _                  _                      _

তুমি কি মনে করো সমতাহীন সমাজ ব্যবস্থার সাম্য প্রতিষ্ঠিত হয়?

তুমি কি মনে করো সমতাহীন সমাজ ব্যবস্থার সাম্য প্রতিষ্ঠিত হয়?
:-     সাম্য বলতে বোঝায় সামাজিক-রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক প্রভৃতি ক্ষেত্রে সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় কোন সমাজ ব্যবস্থা তে মানুষের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়নি আর তা প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না,কারণ অর্থনৈতিক বৈষম্য মূলক সমাজ ব্যবস্থায় মানুষের অধিকার অর্থনৈতিক ব্যবস্থার উপর নিয়ন্ত্রিত হয়। যাদের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নেই তারা সর্বদয় সমাজের শোষিত নিপীড়িত জাতি বৈষম্যমূলক সমাজব্যবস্থাতেও একই ঘটনা পরিলক্ষিত হয়। জাতির উচ্চ নিচ মান-মর্যাদা কে ধরে রাখার জন্য উচ্চ জাতির মানুষ নিম্ন জাতীয় অগ্রগতিতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। তবে আশার বাণী হল বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ঘোষণাপত্র ইতিবাচক কর্মসূচি আধুনিক সমাজ ব্যবস্থায় সাম্য প্রতিষ্ঠা করার জন্য সচেষ্ট হলেও বৈষম্যমূলক সমাজ ব্যবস্থায় পক্ষপাত প্রবণতা থাকবেই তাই প্রকৃত সাম্য গড়ে তোলা কঠিন। সেই কারণে সব দেশের সব আদালতের মূল্য লক্ষ্য জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আইনের চোখে সকলকে সমান ভাবে গড়ে তোলা হলেও বিচারকের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে।


পরিবেশ নীতিবিদ্যা কোন নতুন বিষয় নয় তা পুরাতন এর পুনর উদ্দীপিত মাত্র?

:- নীতিবিদ্যা মূলত তাত্ত্বিক যেখানে নৈতিক সমাজতাত্ত্বিক জ্ঞানগত আলোচনাকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়। কিন্তু তার ব্যবহারিক দিকটিকে উপেক্ষা করা যায় না। এই দিকের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করে আধুনিককালের ব্যবহারিক নীতিবিদ্যা উদ্ভব ঘটে।যেখানে মানবাধিকার মানুষের ব্যবহারিক জীবনে সমস্যা পরিবেশ সংক্রান্ত  নৈতিক আলোচনাকে গুরুত্ব দেয়া হয়।প্রাকৃতিক ও সামাজিক পরিবেশের শুধুমাত্র ন্যায়-নীতি মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিচার করলে হয়না, সকলের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে তা বিচার করে দেখা প্রয়োজন।এই ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি প্রাচীন কালের সাবেকি নীতিবিদ্যা গুরুত্বসহকারে আলোচিত না হলেও তা একেবারেই উপেক্ষিত ছিলনা। প্লেটো , হিউম মানব পরিবেশের বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কে আলোকপাত করে গেছেন। সে কারণে বলা যায় সম্প্রতিকালে পরিবেশগত নীতিবিদ্যা সাবেকি নীতিবিদ্যার ব্যবহারিক দিকের পুনরুজ্জীবন মাত্র।


                            books 

দরিদ্রকে হত্যা না করা হত্যা সমতুল্য, পিটার সিঙ্গারের এই অভিমত ব্যাখ্যা করা?

:-  পিটার সিঙ্গার এর মতে সামাজিক বৈষম্যের অবসান ঘটাতে হলে সমাজের প্রতি প্রত্যেকের কিছু দায়-দায়িত্ব পালন করা প্রয়োজন।শুধুমাত্র ব্যক্তি স্বার্থের কথা চিন্তা করে অর্থনৈতিক স্বাধীনতা ভোগ করলে তা কখনো সামাজিক সাম্য প্রতিষ্ঠা করে না বরং সামাজিক বৈষম্য কে আরও দীর্ঘ করে তুলে। অধিকার ভোগ করতে হলে নীতিগতভাবে কিছু কর্তব্য পালন করা আবশ্যক।কোন দরিদ্র ব্যক্তিকে সাহায্য না করে আমি যদি নিজের ভোগবিলাসের অর্থ অপচয় করি তাহলে তা ব্যক্তি স্বার্থ সিদ্ধির জন্য অন্য ব্যক্তিকে হত্যা করার সমতুল্য বলে মনে হয়। এই কারণেই পিটার সিঙ্গার বলেন দরিদ্র দুর্দশাগ্রস্ত ব্যক্তি কে সাহায্য না করা  তার সমতুল্য।

Madhyamik Jibanbigyan Sahayika Saral Madhyamik Jibanbigyan Sahayika

অর্থের যাচাই যোগ্যতা তত্ত্ব আলোচনা কর?

অর্থের যাচাই যোগ্যতা তত্ত্ব আলোচনা কর?
:-  →     সাধারণত কতগুলি মানদণ্ডে সাহায্যে বাক্যের সত্যমিথ্যা নির্ধারণ করা হয় । এদের মধ্যে পরীক্ষণ যোগ্যতা হল একটি অন্যতম নির্ভরযোগ্য মানদন্ড । তাই মানদণ্ডের দুটি রূপ রয়েছে যথা- সমর্থন যোগ্যতা এবং যাচাই যোগ্যতা।       যাচাই যোগ্যতার তত্ত:পরতা সাধ্য সংশ্লেষক বাক্য এর ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয়। এক্ষেত্রে পরত: সাধ্য কথার অর্থ অভিজ্ঞতায় যাচাইযোগ্য। যদি কোন বাক্য অভিজ্ঞতায় যাচাইযোগ্য হয় তাহলে তা অর্থপূর্ণ নচেৎ অর্থহীন বলে বিবেচিত হবে।কোন বাক্যের অর্থপূর্ণ তার বৈশিষ্ট্য হলো বাক্যটিকে অভিজ্ঞতা ভিত্তিক প্রশিক্ষণ যোগ্য হতে হবে। অধ্যাপক হসপার্স      এর মধ্যে কোন বাক্যকে যাচাই করার অর্থ হলো পর্যবেক্ষণ এর সাহায্যে বাক্যটিকে সত্য বা নিশ্চিত ভাবে প্রতিপাদন করে   । অভিজ্ঞতাভিত্তিক সাক্ষ্যপ্রমাণে সাহায্যে কোন বাক্যে সত্যতা বা মিথ্যা তো সম্বন্ধে নিশ্চিত হতে না পারলে বাক্যটি অর্থপূর্ণ বলে বিবেচিত হবে।


                        তবে যাচাই যোগ্যতা ও যাচাইকরণের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে যখন বলা হয় যে কোন বাক্যকে যাচাই করা গেল ও বাক্যটি বাস্তবে অর্থবহ নয়,তা হল যাচাই করণ। আর যা বাস্তব পরিস্থিতি অর্থবহ তা যাচাই যোগ্য সুতরাং যাচাই যোগ্যতা বলতে যৌক্তিক সম্ভাব্যতা কে বোঝায়। যাচাই যোগ্যতা লক্ষণে বলা হয় যদি এরকম কোন পর্যবেক্ষণ যোগ্য পরিস্থিতি বর্ণনা করা সম্ভব হয় যা বাস্তবে ঘটলে কোন বাক্য নিশ্চিত সত্য মিথ্যা বলে প্রতিপন্ন হতে পারে তাহলে বাক্যটি অর্থপূর্ণ বলে গণ্য হবে। এমনকি যেসব বাক্য প্রত্যক্ষ নির্ভর নয় সেগুলি সঙ্গে যদি এমন কতকগুলি প্রত্যক্ষ নির্ভর বাক্যের সম্বন্ধ দেখা যায় যে গলি সত্যতাহলে ওই বাক্যগুলি প্রত্যক্ষ নির্ভর না হলেও কতগুলি প্রত্যক্ষ নির্ভর বাক্যের সাথে সম্বন্ধ থাকায় তাদের অর্থপূর্ণ বলা যায়।


                         অর্থের যাচাই যোগ্যতা তথ্য অনুসারেদৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন উক্তি বিজ্ঞানের বিভিন্ন অর্থপূর্ণ তা সহজে প্রমাণ করে দেখানো যায়। অপরদিকে সবুজ রঙের বয়স কম , ফেব্রুয়ারি মাস হাসছে প্রভৃতি বাক্য গুলিকে অর্থপূর্ণভাবে বর্জন করা সম্ভব হয়। তা সত্য এই তথ্য ত্রুটিহীন নয়। অধ্যাপক হসপার্স বলেন এই তত্ত্বের সবচেয়ে বড় ত্রুটি হল এর অর্থের মধ্যে সুনির্দিষ্ট তার অভাব রয়েছে। যাচাই যোগ্যতা র তত্ত্বে উল্লেখযোগ্য ত্রুটি হল-

১:   সব অর্থপূর্ণ বাক্য কি অর্থপূর্ণ-
যাচাই যোগ্যতা তথ্য অনুসারে এই বাক্যটিকে যাচাই করা সম্ভব নয়। আবার বাক্যটি বিশ্লেষক নয়। কাজের উক্ত তথ্য অনুসারে বাক্যটি হবে অর্থহীন।

২:-   কোন বাক্যে যাচাইকরণ কখন করা যাবে?
যে কোন বাক্যকে কি বর্তমানে নিশ্চিত ভাবে যাচাই করা যায়? উত্তরে বলা যায় বাস্তবে ব্যাপার সংক্রান্ত বর্তমানকালীন বাক্যকে বর্তমানে যাচাই করা সম্ভব হলেও অতীত ও ভবিষ্যৎ সংক্রান্ত বাক্যকে বর্তমানে যাচাই করা যায় না।সুতরাং এই তথ্য অনুযায়ী অতীত ও ভবিষ্যৎ সংক্রান্ত বাক্যগুলি অর্থহীন বলে বিবেচিত হবে।

৩:-   যাচাই যোগ্যতা বলতে কি শুধুমাত্র ব্যক্তিবিশেষের দ্বারা নাকি যে কোন ব্যক্তির দ্বারা যাচাইকরণ কে বোঝাবে? যদি ব্যক্তিবিশেষের দ্বারা বোঝা যায় তাহলে একজন ব্যক্তির কাছে যা অর্থপূর্ণ অন্যের কাছে তা অর্থহীন হতে পারে। আবার যে কোন ব্যক্তির দ্বারা যাচাইকরণ বোঝালে অনুভূতি প্রকাশক বাক্য। যেমন-
আমার খুব দাঁতে যন্ত্রণা হচ্ছে ‌। এগুলির যাচাইকরণ সম্ভব হবে না।

৪:-    যাত্রা যোগ্যতা তত্ত্বের প্রবর্তক গন বলেন বাস্তব জীবনের সব বোধগম্য বৃদ্ধটি যাচাইকরণের দ্বারা অর্থপূর্ণ বলে মনে করতে হবে। কিন্তু পদার্থবিদ্যা জীব বিদ্যা প্রভৃতির মত বিজ্ঞানে এমন কতকগুলি বাক্য পাওয়া যায় যেগুলো অর্থপূর্ণ কিন্তু যাচাইযোগ্য নয়। যেমন-

সব জড় কণিকায় পরস্পরকে আকর্ষণ করে।

বিজ্ঞানের এই বচনটি ব্যাপকতার দিক থেকে অসীম । তাই নির্দিষ্ট কয়েকটি দৃষ্টান্তের সাহায্যে চূড়ান্ত যাচাইকরণ সম্ভব নয়।

৫:-   এমন কতকগুলি বাক্য রয়েছে তাদের সদর্থক রূপের ক্ষেত্রে যাচাইযোগ্য তত্ত্ব প্রয়োগ করা সম্ভব হলেও নগর নঞথক্‌‌ রূপের ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য নয় কিন্তু যুক্তিবিদ্যা নিয়ম অনুসারে বাক্য অর্থ বাহ তার বিরুদ্ধ বাক্য অর্থবহ করার একটি বাক্য সত্য বা মিথ্যা হলে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা সত্য হবে। কিন্তু যাচাই যোগ্যতা তথ্য মানলে একথা বলা যায়না।


                 যা চায় যোগ্যতা তত্ত্বে সমর্থকগণ বলেন এমন অনেক ক্ষেত্র রয়েছে যেখানে বর্তমান সংক্রান্ত বাক্যকে বর্তমানে, ভবিষ্যৎ সংক্রান্ত বাক্যকে ভবিষ্যতেও যাচাইকরণের পরিপ্রেক্ষিতে অর্থপূর্ণ করে তোলা যায়। আবার অনুভূতি বাক্য প্রকাশক বাক্যকে একমাত্র অন্তর্দর্শন ই যাচাই করা যায়। সেই কারণে ব্যক্তি অনুভূতি বিষয় অন্তর দর্শনে বাহ্যিক বিষয়। যে কোন ব্যক্তির দ্বারা যাচাইকরণ করে অর্থপূর্ণ করে তোলা যায়। কাজেই যাচাই যোগ্যতা তত্ত্বের কিছু ত্রুটি ও সীমাবদ্ধতা থাকলেও এই তত্ত্বে একেবারে মূল্যহীন নয়।



        _            _              _       RRB Group D Solved Papers and Practice Sets    RRB Group D Solved Papers and Practice Sets    

সত্যতা সম্পর্কে সং শক্তি মতবাদ আলোচনা করো?

সত্যতা সম্পর্কে সং শক্তি মতবাদ আলোচনা করো?
:-  সত্যতা কথাটি বিভিন্ন অর্থে ব্যবহার হয়। প্রথমত সততা বলতে আমরা অনেক সময় খাঁটি বা আসলবুঝে থাকি। যেমন এটি সত্যি কারের সোনা। দ্বিতীয়ত অনেক সময় আমরা কোন বিষয়ের প্রতি অধিক গুরুত্ব আরোপ করতে গিয়েও সত্যতা কথাটি ব্যবহার করে থাকি। যেমন তিনি একজন সত্যিকারের দেশ প্রেমিক প্রেমিক। তৃতীয়তঃ সত্যতা বলতে আমরা অনেক সময়কোন বচ্চনের বিশেষ গুণ বা বৈশিষ্ট্য কে সূচিত করি। যেমন সত্য নির্বাচন অবাধ শান্তিপূর্ণ হওয়া প্রয়োজন।


                     বচন এর সত্যতা বলতে কী বোঝায় এবিষয়ে বচ্চন দিতে গিয়ে অধ্যাপক হসপার্স জাগতিক পরিস্থিতি সাহায্য নিয়েছেন।জগতে যা কিছু ঘটেছে সেগুলির সমস্ত কিছুই জাগতিক পরিস্থিতির অন্তর্গত। যেমন সুমেরু অঞ্চল বরফে ঢাকা। 2019 সালে ভারত ও শ্রীলংকার ক্রিকেট ম্যাচ হয়েছিল। এগুলি একেকটি জাগতিক পরিস্থিতি। আমরা ভাষায় প্রকাশ করি বা না করি তাতে কিছু যায় আসে না তাই হস পার্স বলেন ঘটেছে কিংবা ঘটছে এইরূপ জাগতিক পরিস্থিতির কোনো বর্ণনা বচনে থাকলে বচ্চন টি সত্য বলে বিবেচিত হবে। সত্যর স্বরূপও মানদন্ড সম্পর্কে দার্শনিক আলোচনা গুলি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় এ বিষয়ে বিভিন্ন দার্শনিক মত প্রচলিত রয়েছে। যথা শত প্রতীতিবাদ , ও অনুরুপতাবাদ, প্রায়োগিক মতবাদ এবং সংসক্তি বাদ। আমরা এখানে সংসক্তি বাদ নিয়ে আলোচনা করব:- ‌‌

                                  
                             হেগেল এবং হেগেল প্রান্তি দার্শনিক যেমন    ব্রাডলি  বোসাংকোয়েট প্রমূখ হলেন সংসক্তি তত্ত্বের সমার্থক। সংসক্তি মতবাদ সত্যতা সম্পর্কে অনুরুপা বাদের বিপরীত মতবাদ। অনুরূপ তা বাদীদের মতে কোন বচন এর সত্যতা নির্ভর করে তার অনুরূপ বাস্তব পরিস্থিতির ওপর। কোন বচন বা বিশ্বাস সত্য একথার অর্থ হল তার অনুরুপা বাস্তব পরিস্থিতি রয়েছে। আর যদি তার অনুরূপ বাস্তব পরিস্থিতি না থাকে তাহলে মিথ্যা বলে বিবেচিত হবে।কিন্তু সং শক্তিবাদ অনুসারে কোন বচন এর সত্যতা বচ্চনের সঙ্গে বাস্তবের অনুরুপা তার ওপর নির্ভর করে না। বরং কোন বচন এর সত্যতা নির্ভর করে বিভিন্ন বচনের পারস্পারিক সম্বন্ধের উপর।কোন বচন সত্য কথার অর্থ হল বচনটি অন্যান্য বচ্চনের সঙ্গে সম্বন্ধযুক্ত হয়ে একটি সুসংবদ্ধ বচ্চন মণ্ডলী গড়ে তুলতে সক্ষম। সং শক্তির অপর নাম হলো সততা।সংসক্তি সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলা হয় তা হল কোন বচন বচন সমষ্টির এমন এক প্রকার সম্বন্ধে যে সমষ্টির অন্তর্গত কোন বচন মিথ্যা হতে পারেনা। যদি অনুরূপ বচ্চন গুলি সত্য হয় এবং কোন বচন অন্য বচন থেকে স্বাধীন না হয়।


                             অধ্যাপক হসপার্স সং শক্তির সম্বন্ধে নিম্নোক্ত দৃষ্টান্তে র সাহায্যে বর্ণনা করেছেন কেউ কাউকে চেনে না এমন পাঁচজন ব্যক্তি যদি সাক্ষ্য দেই যে তারা গত রবিবার সন্ধ্যায় মিস্টার জজকে দিল্লিতে দেখেছেন তাহলে তাদের বিবরণ এর মধ্যে মিল আছে।অনুরূপ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত না হয়ে যদি তারা সকলে একই কথা বলে তাহলে তাদের একজনের সাক্ষ্য অপরজনকে সমর্থন করে। তবে এ ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় লক্ষ রাখতে হবে যেমন- 

১: সমস্ত সাক্ষীর সাক্ষ্য যেন একই সাথে গ্রহণ করা হয়।

২: সাক্ষীদের সাক্ষ্য দেওয়ার স্বপক্ষে যেন উপযুক্ত যুক্তি থাকে।

৩:  তাদের মধ্যে থেকে কোন পারস্পারিক বিরোধী অভিমত বা বিবৃতি যেন ওঠে না আসে।

                         এভাবে তাদের একজনের অভিমত অপর জনের অভিমত কে সমর্থন করে যে বচন মন্ডলী গড়ে তোলে তা মূল বচনটিকে সত্য বলে প্রতিষ্ঠা করতে পারে।প্রাত্যহিক জীবনযাত্রা এমনকি ঐতিহাসিক বচনের ক্ষেত্রে শক্তির সাহায্যে আমরা বচন এর সত্যতা নির্ধারণ করে থাকি।


সমালোচনা :-   সংসক্তি তত্ত্বের বিরুদ্ধে বেশ কিছু আপত্তি লক্ষ্য করা যায় যথা-

১: প্রদত্ত দৃষ্টান্তের পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় মিস্টার দিল্লিতে এসেছিলেন; এ বিষয়ে সমস্ত সাক্ষী সাক্ষ্য একই সাথে গৃহীত হলো তা বচন টিকে সত্য বলে প্রতিষ্ঠা করতে পারেনা।কেননা এমন হতেই পারে যে প্রত্যেক সাক্ষী অন্য কোন ব্যক্তিকে ভ্রান্ত ভাবে মিস্টার জলে ভুল করছেন।

২:-  এক্ষেত্রে সাক্ষীদের বিবৃতির সত্যতা কিসের উপর নির্ভর করে? যদি এগুলি সত্যতা অন্য বোতলের উপর নির্ভর করে তাহলে অন অবস্থা দোস্ত ঘটবে কারণ ক  বচন এর সত্যতা থ বচ্চন মন্ডলীর ওপর ,  খ বচ্চন মন্ডলীর সত্যতা গ বচন মন্ডলীর ওপর নির্ভর করে নির্ধারণ করে চললে মূল বচ্চনের নিশ্চিত সত্যতা ই উপনীত হওয়া সম্ভব নয়।


৩:-   সব বচ্চনের সত্যতা সং শক্তির উপর নির্ভর করে এমন বলা যায়না। কেননা এ পূর্ব স্বীকৃত সত্য হিসেবে বিরোধ বাধক নিয়মের সত্য তাকে মেনে নিতে হবে তা না হলে দুটি পরস্পর বিরুদ্ধ বচ্চনের ক্ষেত্রেও সং শক্তির প্রয়োগ ঘটবে।

Kirans Railway (Rrbs) Group Level-1 Posts Practice Work Book & 2018 Solved Paper-BengaliKirans Railway (Rrbs) Group Level-1 

সংজ্ঞা জ্ঞাপক বৈশিষ্ট্য ও সহ গামি বৈশিষ্ট্যের পার্থক্য লেখ?

সংজ্ঞা জ্ঞাপক বৈশিষ্ট্য ও সহ গামি বৈশিষ্ট্যের পার্থক্য লেখ?

:- সংজ্ঞা জ্ঞাপক বৈশিষ্ট্যের সাথে সহগামী বৈশিষ্ট্যের কিছু পার্থক্য রয়েছে যথা-

১:-  কোন শব্দের সংজ্ঞা দিতে গেলে শব্দ দ্বারা সূচিত বৈশিষ্ট্যের কথা উল্লেখ করতে হয়। সংজ্ঞা তে সেইসব বৈশিষ্ট্যের কথা উল্লেখ করতে হয় যে গুলিকে আমরা ঐ বস্তু টির জ্ঞাপক বলে মনে করি।যে বৈশিষ্ট্যের অনুপস্থিতিতে বস্তুটি যে শব্দের দ্বারা সূচিত হয় সেই শব্দ আর ঐ বস্তুর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হতে পারে না।এখানে বস্তু বলতে দ্রব্যগুণ ক্রিয়া সম্বন্ধে ইত্যাদিকে বোঝানো হয় যেমন
জীব বৃত্তি ও বুদ্ধিবৃত্তি মানুষের সংজ্ঞার্থ জ্ঞাপক বৈশিষ্ট্য যার মধ্যে জীব বৃত্তি ও বুদ্ধিবৃত্তি নেই তাকে মানুষ বলা যাবেনা। কিন্তু যদি বলা হয় মানুষ দ্বিপদ বিশিষ্ট জীব সে ক্ষেত্রে দ্বিপদ বিশিষ্ট না হলেও তাকে মানুষ বলা যায়না। তাই এটি সংজ্ঞার্থ জ্ঞাপক বৈশিষ্ট্য নয়।


                        অপরদিকে সহগামী বৈশিষ্ট্য বলতে বোঝায়কোন বস্তুর সেগুন গুলিকে যেগুলি অপরিহার্য নয় সেগুলি অনুপস্থিতি থাকা সত্বেও বস্তুটিকে নিজ নামে অভিহিত করা যায়। যেমন
মানুষ 6ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট হয় এক্ষেত্রে 6 ফুট উচ্চতা না থাকলেও তাকে মানুষ রূপে অভিহিত করা যায়। সুতরাং তা সহগামী বৈশিষ্ট্য


২:-  কোন বৈশিষ্ট্য সংজ্ঞার্থ জ্ঞাপক নাকি সহগামী তা নির্ধারণ করার অন্যতম উপায় হল সংশ্লিষ্ট বস্তুর মধ্যেওই বৈশিষ্ট্যের অভাব ঘটলে বস্তুটিকে পূর্বে যে শব্দের দ্বারা সূচিত করা হতো বর্তমানে শব্দের দ্বারা সূচিত করা যায় কিনা তা খতিয়ে দেখা।যদি দেখা যায় ওই বৈশিষ্ট্যের অভাব ঘটলে বস্তুটিকে আর সে বস্তু বলে গণ্য করা যায় না তা হবে সংজ্ঞার্থ জ্ঞাপক বৈশিষ্ট্য। যেমন:-।
      চারটি বাহু অসমান হলেও একটি চতুর্ভুজ কে চতুর্ভুজ বলে গণ্য করা যায়। সুতরাং তা হলো চতুর্ভুজ এর সহগামী বৈশিষ্ট্য। কিন্তু চারটি বাহু অসমানহলে একটি বর্গক্ষেত্র কে আর বর্গক্ষেত্র বলে সূচিত করা যায় না সুতরাং তা হবে বর্গক্ষেত্রের সংজ্ঞা জ্ঞাপক বৈশিষ্ট্য।

৩:-  সংজ্ঞা জ্ঞাপক বৈশিষ্ট্য কোন শব্দের অর্থ সহিত অনিবার্য ভাবে সংশ্লিষ্ট থাকে কিন্তু সহগামী  বৈশিষ্ট্য অনিবার্য ভাবে সংশ্লিষ্ট নয়। তা শুধুমাত্র সূচিত শব্দ সম্পর্কে কিছু ঘোষণা করে যেমন:-
অনুঢ়া বলতে বোঝাই অবিবাহিত কুমারীদের আবার অনেক সময় অনুঢ় বলতে সুন্দরী মেয়েদের বোঝানো হয়। এক্ষেত্রে প্রথম বৈশিষ্ট্যটি সংজ্ঞা জ্ঞাপক, কারণ বিধেয় টি উদ্দেশ্য পদ এর অন্তর্ভুক্ত। অর্থাৎ তা অর্থের সহীত অনিবার্য ভাবে সংশ্লিষ্ট।কিন্তু দ্বিতীয় বৈশিষ্ট্যটি সহগামী কারণ এখানে অনুঢ়াশব্দের দ্বারা নির্দেশিত ব্যক্তির একটি সাধারণ বৈশিষ্ট্যের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

৪:-  সংজ্ঞার্থ জ্ঞাপক বৈশিষ্ট্যের মধ্যে কোন পরিবর্তন ঘাটলে কোন বস্তু তার অভিন্নতা সত্ত্বা বজায় রাখতে পারেনা। পৃথক বস্তুতে রূপান্তরিত হয়। কিন্তু সহগামি বৈশিষ্ট্যের মধ্যে কোন পরিবর্তন ঘটলেও বস্তুর অভিন্ন সত্ত্বা বজায় থাকে। যেমন:- আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার বলতে বোঝায় যারা আন্তর্জাতিক স্তরে ক্রিকেট খেলেছে । এটি সংজ্ঞার্থ জ্ঞাপক বৈশিষ্ট কারণ এ বৈশিষ্ট্যের পরিবর্তন ঘটলে তাকে আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার বলা যায়না।আর যদি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার বলতে বোঝানো হয় যার আন্তর্জাতিক পরিচয় রয়েছে।সে ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক পরিচয় না থাকলেও তা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার হওয়া সত্ত্বেও কোন সমস্যা থাকে না। ফলে এটি সহগামী বৈশিষ্ট কারণ বস্তুর অভিন্ন সত্ত্বায় কোন পরিবর্তন ঘটে না।

              _       _      _       _
     West Bengal Primary TET Practice Sets In BengaliWest Bengal Primary TET Practice Sets In Bengali

অধ্যাপক হসপার্স কে অনুসরণ করে দ্রব্য এর সমস্যাটি ব্যাখ্যা করো:

অধ্যাপক হসপার্স কে অনুসরণ করে দ্রব্য এর সমস্যাটি ব্যাখ্যা করো:
দ্রব্যশব্দের ইংরেজি প্রতিশব্দ হল substance.sub কথার অর্থ নিমো । এবংstance কথার অর্থ হল দন্ডায়মান। সুতরাং এর আক্ষরিক অর্থ হলো  নিমু দণ্ডায়মান, কিন্তু এই আক্ষরিক অর্থ কে প্রচলিত বা দার্শনিক কোন অভিজ্ঞতাতেই বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয় না। প্রচলিত লৌকিক অভিমত অনুসারে দ্রব্য হল এমন এক অপরিবর্তনশীল সত্তা যা গুনের আঁধার শক্তিও ক্রিয়ার উৎস। যেমন চকহলো একটি দ্রব্য কারণ তাকে অবলম্বন করে সাধারণ গোলাকার আকার লম্বা দৈর্ঘ্য প্রভৃতি গুণগুলি বর্তমান রয়েছে। এমনকি তার লেখা নামক কার্যকে উৎপন্ন করার ক্ষমতা রয়েছে।


                                কিন্তু লৌকিক অভিমতকে গ্রহণ করে নিলে দ্রব্য সম্পর্কে কিছু সমস্যা দেখা যায়। যেমন দ্রব্যের সহিত গুণের সম্বন্ধ কি?এই সমস্ত প্রশ্ন কে কেন্দ্র করেই দ্রব্য সম্পর্কে দুই ধরনের দার্শনিক মতবাদ গড়ে উঠেছে। যথা-

১: বুদ্ধিবাদ:- যাদের প্রত্যেকেই গুণ অতিরিক্ত দ্রব্যের অস্তিত্ব স্বীকার করে নিয়েছেন তাই তাদের মতবাদ কে দ্রব্য সত্যবাদী মতবাদ বলা হয়।

২:-  অভিজ্ঞতাবাদ:- যাদের লক ছাড়া কোন দার্শনিক অতিরিক্ত দ্রব্যের অস্তিত্ব স্বীকারে আগ্রহী নয়, সেই কারণে তাদের মতবাদ কে দ্রব্য সত্তাবিরোধী মতবাদ বলা হয়।

                            এই কারণে হস পার্স বলেন দ্রব্যের প্রকৃত স্বরূপ কে উপলব্ধি করতে হলে বুদ্ধিবাদ এবং অভিজ্ঞতাবাদী এই দুই মতবাদকে ব্যাখ্যা করে দেখা প্রয়োজন।


1:-বুদ্ধিবাদী ও দ্রব্য সত্যবাদী মতবাদ:

                                                   দেকার্ত স্পিনোজা প্রমূখ  বুদ্ধিবাদীদার্শনিকগণ   দাবি করেনদ্রব্য হল তাই    যা নিজের অস্তিত্বের জন্য অন্য কোন কিছুর ওপর নির্ভর করে না।অর্থাৎ দ্রব্য স্বনির্ভর গুনমাত্রই তাদ্রব্যের উপর নির্ভর করে রয়েছে  । অভিজ্ঞতাবাদী দার্শনিক লক বুদ্ধিবাদের এই মতকে সমর্থন করে বললেন দ্রব্য হল গুণ এর অজ্ঞাত ও অজ্ঞেয় আধার। যদিও অভিজ্ঞতায় সাক্ষাৎ ভাবে দ্রব্য বলে কোন কিছুকে পায়না তবুও গুনের অজ্ঞাত ও অজ্ঞেয় আধার হিসেবে দ্রব্যের অস্তিত্বস্বীকার করতে হয়। দ্রব্য না থাকলে গুণগুলি থাকতে পারে না অর্থাৎ দ্রব্য সত্যবাদীরা মনে করেন গুন অতিরিক্ত  দ্রব্যের অস্তিত্ব রয়েছে। এবং অস্তিত্বের ক্রমা  পর্যায়ে  প্রথমে আসে দ্রব্য তারপরওই দ্রব্যের গুন  ।


২:- ‌‌ অভিজ্ঞতাবাদ বা দ্রব্য সত্তা বিরোধী মতবাদ:-

          দ্রব্য সত্তা বিরোধী বিশেষভাবে অভিজ্ঞতাবাদী দার্শনিক হিউম ও তার অনুগামীরা বলেন বাস্তবে দ্রব্য বলে কিছু নেই। দ্রব্যের ধারণা এক অবাস্তব দুর্বোধ্য কল্পনা মাত্র। গুণের অভিজ্ঞতা হয় বলে গুণের অস্তিত্ব রয়েছে।গুন অতিরিক্ত দ্রব্য বলে কোন কিছু থাকলে গুণের যেমন প্রত্যক্ষ অনুভব হয় তেমনি দ্রব্যের প্রত্যক্ষ অনুভব হত। কিন্তু গুন অতিরিক্ত কোন দ্রব্যের প্রত্যক্ষ অনুভব আমাদের হয়না। হিউমের পথ কে অনুসরণ করে পরবর্তীকালে যৌক্তিক প্রত্যক্ষবাদীরা দাবি করেন ভাষাগত এক বিভ্রান্তি ও কুসংস্কার এর জন্যই আমাদের মনে গুন অতিরিক্ত দ্রব্যের ধারণার উদ্ভব হয়। বাক্য রীতি অনুসারে বাক্যের উদ্দেশ্য কোন না কোন ব্যক্তি বা বস্তু বাচক শব্দ আর বিধেয় হবে গুনবাচক শব্দ। এই ভাষারীতি জন্যই আমাদের মনে দ্রব্যের ধারণা তৈরি হয়।

                          অধ্যাপক হস পারস বলেন দ্রব্যের সহিত ধারণা পেতে হলে উক্ত দুই অভিমতের সমর্থনে কান্ট দ্রব্য সম্পর্কে যা বলেছেন সে বিষয়ে আলোকপাত করা প্রয়োজন।কান্টের দ্রব্য সম্পর্কে মতবাদ বুদ্ধিবাদ অভিজ্ঞতাবাদ এর এক মধ্যবর্তী মতবাদ। তিনি হিউমের সাথে একমত যে প্রত্যক্ষঅনুভবে কোন অপরিবর্তনশীল সত্তার উপলব্ধি আমাদের হয়না। পরিবর্তনশীল গুণগত রই উপলব্ধি হয় কিন্তু দ্রব্যের ধারণা কে অবাস্তব কল্পনা বলা যায়না। জগতের সব কিছুই পরিবর্তিত হলেও সেই পরিবর্তনের মধ্যে এক অপরিবর্তনীয় ধারণা পাওয়া যায় যে অপরিবর্তনশীল সত্যকে স্বীকার না করলে পরিবর্তনশীল সত্তা কেউ ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয়। ইন্দ্রিয় অভিজ্ঞতায় যেমন জ্ঞানের উপাদান দেয় তেমনি বুদ্ধি জ্ঞান এর আকার প্রদান করে। অভিজ্ঞতা প্রাপ্ত বিচ্ছিন্ন পরিবর্তনশীল ধারণা গুলিকে বুদ্ধির আকারে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে সাজিয়ে নিয়ে অপরিবর্তনশীল সত্তা বা দ্রব্যের ধারণা আমরা গড়ে তুলি।তাই কান্ট এর মতে দ্রব্য আছে যদিও তা বাস্তবে নেই তা আমাদের বোধশক্তির একটি পূর্বতঃসিদ্ধ আকার যা প্রতিটি মানব মনে অবস্থান করে ।


                 _        _        _
                     Kirans Railway (Rrbs) Group Level-1 Posts Practice Work Book & 2018 Solved Paper-Bengali

সরল বস্তুবাদ কী?

সরল বস্তুবাদ কী? এই মতবাদের মূল বক্তব্য ব্যাখ্যা ও বিচার করা:
:-প্রতিটি বুদ্ধিবাদী দার্শনিক মনে করেন জগতে জ্ঞান নিরপেক্ষবস্তুর অস্তিত্ব রয়েছেকিন্তু বস্তুকে আমরা কিভাবে জানি এই প্রশ্নটিই কে কেন্দ্র করে বস্তুবাদ দুই ভাগে বিভক্ত যথা-সরল বস্তুবাদ এবং প্রতিরূপী বস্তুবাদ।
সরল বস্তুবাদ ইরা বলেছেন জগতে অসংখ্য জ্ঞান নিরপেক্ষ বস্তু রয়েছে যাদের আমরা সাক্ষাৎ প্রত্যক্ষের দাঁড়াও জেনে থাকি।সাধারণ মানুষ যারা প্রত্যক্ষ ক্রিয়া এবং ভৌত জগত সম্পর্কে কোন সমস্যা অনুভব করেননা তারা বিশ্বাস করেন যে আমাদের মন বা চেতনার বাইরে জগত আছে। এবং জগৎ কি আমরা প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা দ্বারা জানতে পারি ।সরল বস্তুবাদ এর সাথে সাধারণ মানুষের প্রচলিত অভিমতের মিল থাকায় এই মতবাদকে লৌকিকবস্তুবাদ বলা হয়।

                      অধ্যাপক  হস পার্স বস্তু সম্বন্ধে সাধারণ মানুষের প্রচলিত পাঁচটি বিশ্বাসের কথা বলেছেন। যেগুলি কে নিয়ে সরল বস্তুবাদ গড়ে উঠেছে।  যথা-

১.  যে জগতে আমরা বাস করি সেখানে নদী পাহাড় টেবিল-চেয়ার গাছপালা প্রভৃতির মতো অসংখ্য জড়বস্তু রয়েছে যাদের নিয়ে এই বস্তুজগৎ গঠিত। এই জগতে যেমন অসংখ্য মানুষ ও তাদের মন আছে, তেমনি অসংখ্য বাহ্য বস্তুর রয়েছে।

২.  বস্তুকে সাক্ষাৎ ইন্দ্রিয় অভিজ্ঞতার দ্বারা জানা যায়। বস্তু জগতে যে রূপে বিরাজ করে তাদের সাক্ষাৎ প্রত্যক্ষে সেই রূপেই উপলব্ধি করা যায়। অর্থাৎ আমরা বস্তুর প্রত্যক্ষ জ্ঞান অর্জন করি।

৩.  বস্তুর অস্তিত্ব আমাদের জানাবা না জানার ওপর নির্ভর করে না, আমরা জানি বা না জানি বস্তুর অস্তিত্ব রয়েছে। আবার বস্তুর গুণ বা ধর্মের অস্তিত্ব রয়েছে।

৪.  ইন্দ্রিয় অভিজ্ঞতায় আমরা বস্তুকে সরাসরি জানি কারণ আমাদের মন হল সন্ধানে আলোর মত যখন যে বস্তুর সহিত মনের সংযোগ ঘটে তখন সেই বস্তুর জ্ঞান বা চেতনা গড়ে ওঠে।

৫.  জ্ঞান অর্জনের ক্ষেত্রে বস্তুর সহিত মনের সংযোগ ঘটায় আবশ্যক  হলেও অস্তিত্বের জন্য তারা একে অপরের ওপর নির্ভর করে না অর্থাৎ বস্তু ওমন বাহ্যিক সম্বন্ধে যুক্ত।


সমালোচনা:-   সরল বস্তুবাদ এর বিরুদ্ধে আপত্তি গুলি হল-

১.  বস্তু যেরূপ তাকে যদি সাক্ষাৎ সেরূপে জানা যায় তাহলে ভ্রান্ত প্রত্যক্ষের ব্যাখ্যা দেওয়া সম্ভব নয়। যেমন-
যখন আমরা দড়িকে সাপ রূপেপ্রত্যক্ষ করি। বস্তু যে রূপ তাকে সেই রূপে জানলে সাপের অস্তিত্ব স্বীকার করতে হয়।

২.  সরল বস্তুবাদ স্বীকার করে নিলে অধ্যাস বা অমূল প্রত্যক্ষ এর ব্যাখ্যা দেওয়া সম্ভব নয়।যেখানে কোন বিষয় উপস্থিত থাকে না কিন্তু বিষয়ের প্রত্যক্ষ জ্ঞান উৎপন্ন হয় তাকে অধ্যাস অমূলপ্রত্যক্ষ বলে। যেমন-
দূর থেকে পাহাড় দেখলে তা মন সবুজে ঢাকা দেখা যায় কিন্তু বাস্তবে পুরো পাহাড় সবুজে ঢাকা থাকে না মাঝে মাঝে কিছু অংশ ফাঁকা থাকে।

৩.   সরল বস্তুবাদ স্বীকার করে নিলে একই বস্তুর মধ্যে উপস্থিত দুটি পরস্পর বিরোধী দলের ব্যাখ্যা দেওয়া সম্ভব নয়। যেমন-
একটি সোজা কাঠির কিছুটা অংশ জলে ডুবিয়ে রাখলে সাক্ষাৎ প্রত্যক্ষে জলের নিচে অংশ বেঁকে যেতে দেখা যায় যা বাস্তবে ঘটে না।

৪.   সরল বস্তুবাদ স্বীকার করে নিলে আমাদের জ্ঞানের সত্যতা বিচার করে দেখা সম্ভব হয় না কারণ বস্তু যেরূপ তাকে সাক্ষাৎ সেই রূপে জানলে সব ধরনের জ্ঞান ই যথার্থ হবে।

  এই কারণে হস পার্স বলেন ইন্দ্রিয় অভিজ্ঞতাজোড়া বস্তুর অস্তিত্ব ও স্বরূপ সাক্ষাৎ ভাবে ধরা দেয় এমন বলা পুরোপুরি যুক্তিযুক্ত নয় এর বিপরীত মত এর মধ্যেও কিছুটা সত্যতা রয়েছে।



WBPRB




প্রতিবেদন মূলক আরোপ অফ মূলক সংখ্যার পার্থক্য লেখ?

প্রতিবেদন মূলক আরোপ অফ মূলক সংখ্যার পার্থক্য লেখ?
যখন আমরা কোন শব্দের সংজ্ঞা দিই তখন শব্দটির অর্থকে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করি যেহেতু কোন শব্দের সাথে অর্থের কোনো স্বাভাবিক সম্পর্ক নেই। মানুষটার সুবিধার্তে বিভিন্ন ধরনের শব্দ কে বিভিন্ন অর্থে প্রয়োগ করেন। তাই বিভিন্ন সংখ্যার মাধ্যমে কোন শব্দের অর্থ কে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে। এই প্রসঙ্গে দুই ধরনের সঙ্গে আর কথা বলা যায়। যথা
১. প্রতিবেদন মূলক সংজ্ঞা
২. আরোপক সংজ্ঞা
এই দুই সংখ্যার পার্থক্য হল

১.কোন শব্দের অর্থ কে প্রকাশের জন্য এমন এক ধরনের শব্দ ব্যবহার করা হয় যা প্রদত্ত শব্দের অর্থ কে প্রকাশ করে তা হবে প্রতিবেদন মূলক সংখ্যা।

                     কোন শব্দের অর্থ প্রকাশ করতে গিয়ে যদি কোন ঘটনার বর্ণনা কে তুলে ধরা হয় তা হবে আরো পক সংজ্ঞা।

২. প্রতিবেদন মূলক সংখ্যা প্রচলিত অর্থ কে
প্রকাশ করার জন্য ব্যবহার করা হয়।

                           আরো পক সংজ্ঞা কোন শব্দকে নতুন অর্থে প্রয়োগ এর জন্য ব্যবহার করা হয়।

৩.  যখন কোনো ব্যক্তি অর্থ কে প্রকাশের জন্য ভাষার মধ্যে পর্যাপ্ত শব্দ কে খুঁজে পাই তখন সেখানে প্রতিবেদনমূলক সংজ্ঞা প্রদান করা হয়।

                           নতুন সংজ্ঞা নতুন প্রতীকের ক্ষেত্রে আরো পক সংজ্ঞা ব্যবহার করা হয়।




লোকের প্রতিরূপী বা বৈজ্ঞানিক বস্তুবাদ আলোচনা করো?

লোকের প্রতিরূপী বা বৈজ্ঞানিক বস্তুবাদ আলোচনা করো?
:-যে মতবাদে বস্তুর জ্ঞান নিরপেক্ষ অস্তিত্ব স্বীকার করা হলোও বস্তুর সাক্ষাৎ জ্ঞান স্বীকার করা হয় না। বরং বলা হয় বস্তুকে পরোক্ষভাবে প্রতিরূপ এর মাধ্যমে জানতে হয় সেই মতবাদকে প্রতিরূপী বস্তুবাদ বলে। প্রতিরূপী বস্তুবাদ এর মূল বক্তব্য গুলি হল-     

১/যে জগতে আমরা বসবাস করি সেখানে নদী পাহাড় ,টেবিল-চেয়ার প্রভৃতি বস্তুর অস্তিত্ব রয়েছে  ।
 
২/বস্তুর অস্তিত্ব ও স্বরূপ আমাদের জানা না জানার উপর নির্ভর করে না।   

৩/বস্তুকে আমরা সাক্ষাৎ প্রত্যক্ষে জানিনা, জানি পরোক্ষভাবে প্রতিরূপ বা ধারণার মাধ্যমে।

৪/আমাদের মন হল স্বচ্ছ পর্দার মতো সেখানে বস্তুর গুণের ধারণা বা প্রতিরূপ গুলি প্রতিফলিত হয়।
   
                          লক প্রবর্তিত প্রতিরূপী বস্তুবাদ এর প্রথম এবং দ্বিতীয় বক্তব্য সরল বস্তুবাদ এর সাথে অভিন্ন ।পরবর্তীঅভিমত গুলি সম্পর্কে তাদের সরল বস্তুবাদ এর সাথে পার্থক্য রয়েছে। তারা দাবি করেন সরল বস্তুবাদ ভ্রান্ত প্রত্যক্ষ আমাদের জ্ঞানের সত্য-মিথ্যা বিচারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। তাই লোক বলেন আমরা সাক্ষাৎ ভাবে বস্তুর যেপ্রতিরূপ বা ধারণাগুলিকে জানি তার থেকে পরোক্ষভাবে বস্তুকে জেনে থাকি।  প্রতিরূপের সহিত বাহ্য বস্তুর মিল থাকলে জ্ঞান সত্য হয়, আমার প্রতি রূপের সহীত বস্তুর মিল না থাকলে জ্ঞান মিথ্যা হয়। এর কারণ হিসেবে বস্তুর দুই প্রকার ধর্মের কথা বলা যায় যথা:-
১. গুণমুখ্য গুণ এবং ২. গৌণ গুণ। মুখ্য গুণ গুলি বস্তু নিজস্ব ধর্ম বলে তার আধার রূপে বস্তুকে জানলে জ্ঞান সত্য  হয় । আর গৌণ গুণ গুলি মনোগত ধর্ম বলে তার আধার রূপে বস্তুকে জানলে জ্ঞান মিথ্যা হয়। এই গুণ বিভাজন তৎকালীন বৈজ্ঞানিক

চিন্তাধারার ওপর প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় এই মতবাদকে বৈজ্ঞানিক বস্তুবাদ বলে।

টেলিফোন এক্সচেঞ্জ অপারেটার এর উপমা?

1- টেলিফোন এক্সচেঞ্জ অপারেটার এর উপমা?
:- কাল পিয়ারসন তার দা গভর্মেন্ট অফ সাইন্স গ্রন্থে লোকের মতবাদ কে টেলিফোন এক্সচেঞ্জের সাথে তুলনা করেছেন। মন যেন একটা টেলিফোন এক্সচেঞ্জের মতো,আর প্রত্যেক মানুষ যেন ওই এক্সচেঞ্জের এক একজন জন অপারেটর।বাহ্য জগতের খবরা-খবর বা সংবাদ আমাদের সামনে কয়েকটি তারের মাধ্যমে উপস্থিত হয়।দূর্ভাষী যারা কথা বলেন তাদের কোন একজনকে আমরা দেখতে পায় না আমরা কেবল তার সংলগ্ন প্রান্তে তার কণ্ঠস্বর শুনতে পায় একজন যে কথা বলতে চাই সে খবর পাই আমরা একগুচ্ছ তারের মাধ্যমে।এক্ষেত্রে এক্সচেঞ্জ অফিসের বাইরে যারা পরস্পর কথা বিনিময় করে কেউ কাউকে দেখে না । সংযোগ স্থাপন অপারেটরে রূপে জগৎটা এক্সচেঞ্জ অফিসের মাধ্যমে সীমাবদ্ধ । অফিসের বাইরে কি আছে বা কারা আছে তা আমরা সরাসরি জানিনা । এভাবে বাহ্যজগত থেকে আগত উদ্দীপনা কতকগুলি অন্তর্মুখী স্নায়ুর  মাধ্যমে আমাদের মস্তিষ্কের বাহিত হলে ইন্দ্রিয় সংবেদন সৃষ্টি হয় ।একগুচ্ছ স্নায়ুর মাধ্যমে আবার সেই উদ্দীপনা দেহের বিভিন্নপেসিতে প্রবাহিত হলে দেহে গতির সঞ্চার হয় । আমরা প্রত্যক্ষভাবে কেবল ইন্দ্রিয় সংবেদন বা স্নায়ুর উদ্দীপনাকে জানতে পারি, বাহ্য জগৎ কে জানতে পারি না। ইন্দ্রিয় অভিজ্ঞতার বাইরে কী আছে তা আমাদের পক্ষে জানা সম্ভব নয় ,আমাদের জ্ঞান ইন্দ্রিয় গ্রাহ্য জগতের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ।         
                                               পিয়ারসন বললেন টেলিফোন এক্সচেঞ্জ অফিসের কর্মীদের অপেক্ষাও আমাদের জ্ঞানের পরিধি সংকীর্ণ। টেলিফোন অপারেটর তার অফিসে থাকাকালীন অবস্থায় দূর্ভাষে তারা কথা বিনিময় করে তাদের সরাসরি দেখতে না পেলেও অফিস ছুটির পর তাদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে বা স্থাপন করতে পারে। কিন্তু ইন্দ্রিয় অভিজ্ঞতার ক্ষেত্রে এমন কোন সম্ভাবনা থাকে না ,ইন্দ্রিয় অভিজ্ঞতাকে অতিক্রম করে ব্যক্তিবিশেষ কোন কিছুই জানতে পারেনা ,বিজ্ঞানভিত্তিক এই বর্ণনা অনুসারে নানা ঘটনার কার্যকরণ সর্বশেষ কার্যটি হল ইন্দ্রিয় অভিজ্ঞতা । আমরা শুধুমাত্র এই সর্বশেষ কার্য ইন্দ্রিয় অভিজ্ঞতাকেই জানতে পারি। যদি শুধুমাত্র ইন্দ্রিয় অভিজ্ঞতায় একমাত্রজানার বিষয় হয় তাহলে তাদের তথাকথিত কারণ সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান সম্ভব হয়না। ইন্দ্রিয় অভিজ্ঞতার  সীমানা আমাদের পক্ষে লংঘন করা সম্ভব নয়।আর ইন্দ্রিয় অভিজ্ঞতার মাধ্যমে জ্ঞাত জগতের কারণকে জানা সম্ভব নয়।এই কারণেই প্রতিরূপী বস্তুবাদ জগতের ব্যাখ্যার ক্ষেত্রে পূর্ণ গ্রহণযোগ্য মতবাদ নয়।


WBCS Executive 2020 Preliminary Exam Practice Work Book Bengali 

শাস্তি প্রদানের উদ্দেশ্য কি??

শাস্তি প্রদানের উদ্দেশ্য কি?? :-    শাস্তি প্রদানের মূল উদ্দেশ্য বা লক্ষ্য দুটি- ১:  অপরাধী অপরাধ মূলক ক্রিয়া সম্পাদনের মাধ্যমে তার চরি...