সংজ্ঞা জ্ঞাপক বৈশিষ্ট্য ও সহ গামি বৈশিষ্ট্যের পার্থক্য লেখ?
:- সংজ্ঞা জ্ঞাপক বৈশিষ্ট্যের সাথে সহগামী বৈশিষ্ট্যের কিছু পার্থক্য রয়েছে যথা-
১:- কোন শব্দের সংজ্ঞা দিতে গেলে শব্দ দ্বারা সূচিত বৈশিষ্ট্যের কথা উল্লেখ করতে হয়। সংজ্ঞা তে সেইসব বৈশিষ্ট্যের কথা উল্লেখ করতে হয় যে গুলিকে আমরা ঐ বস্তু টির জ্ঞাপক বলে মনে করি।যে বৈশিষ্ট্যের অনুপস্থিতিতে বস্তুটি যে শব্দের দ্বারা সূচিত হয় সেই শব্দ আর ঐ বস্তুর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হতে পারে না।এখানে বস্তু বলতে দ্রব্যগুণ ক্রিয়া সম্বন্ধে ইত্যাদিকে বোঝানো হয় যেমন
জীব বৃত্তি ও বুদ্ধিবৃত্তি মানুষের সংজ্ঞার্থ জ্ঞাপক বৈশিষ্ট্য যার মধ্যে জীব বৃত্তি ও বুদ্ধিবৃত্তি নেই তাকে মানুষ বলা যাবেনা। কিন্তু যদি বলা হয় মানুষ দ্বিপদ বিশিষ্ট জীব সে ক্ষেত্রে দ্বিপদ বিশিষ্ট না হলেও তাকে মানুষ বলা যায়না। তাই এটি সংজ্ঞার্থ জ্ঞাপক বৈশিষ্ট্য নয়।
অপরদিকে সহগামী বৈশিষ্ট্য বলতে বোঝায়কোন বস্তুর সেগুন গুলিকে যেগুলি অপরিহার্য নয় সেগুলি অনুপস্থিতি থাকা সত্বেও বস্তুটিকে নিজ নামে অভিহিত করা যায়। যেমন
মানুষ 6ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট হয় এক্ষেত্রে 6 ফুট উচ্চতা না থাকলেও তাকে মানুষ রূপে অভিহিত করা যায়। সুতরাং তা সহগামী বৈশিষ্ট্য
২:- কোন বৈশিষ্ট্য সংজ্ঞার্থ জ্ঞাপক নাকি সহগামী তা নির্ধারণ করার অন্যতম উপায় হল সংশ্লিষ্ট বস্তুর মধ্যেওই বৈশিষ্ট্যের অভাব ঘটলে বস্তুটিকে পূর্বে যে শব্দের দ্বারা সূচিত করা হতো বর্তমানে শব্দের দ্বারা সূচিত করা যায় কিনা তা খতিয়ে দেখা।যদি দেখা যায় ওই বৈশিষ্ট্যের অভাব ঘটলে বস্তুটিকে আর সে বস্তু বলে গণ্য করা যায় না তা হবে সংজ্ঞার্থ জ্ঞাপক বৈশিষ্ট্য। যেমন:-।
চারটি বাহু অসমান হলেও একটি চতুর্ভুজ কে চতুর্ভুজ বলে গণ্য করা যায়। সুতরাং তা হলো চতুর্ভুজ এর সহগামী বৈশিষ্ট্য। কিন্তু চারটি বাহু অসমানহলে একটি বর্গক্ষেত্র কে আর বর্গক্ষেত্র বলে সূচিত করা যায় না সুতরাং তা হবে বর্গক্ষেত্রের সংজ্ঞা জ্ঞাপক বৈশিষ্ট্য।
৩:- সংজ্ঞা জ্ঞাপক বৈশিষ্ট্য কোন শব্দের অর্থ সহিত অনিবার্য ভাবে সংশ্লিষ্ট থাকে কিন্তু সহগামী বৈশিষ্ট্য অনিবার্য ভাবে সংশ্লিষ্ট নয়। তা শুধুমাত্র সূচিত শব্দ সম্পর্কে কিছু ঘোষণা করে যেমন:-
অনুঢ়া বলতে বোঝাই অবিবাহিত কুমারীদের আবার অনেক সময় অনুঢ় বলতে সুন্দরী মেয়েদের বোঝানো হয়। এক্ষেত্রে প্রথম বৈশিষ্ট্যটি সংজ্ঞা জ্ঞাপক, কারণ বিধেয় টি উদ্দেশ্য পদ এর অন্তর্ভুক্ত। অর্থাৎ তা অর্থের সহীত অনিবার্য ভাবে সংশ্লিষ্ট।কিন্তু দ্বিতীয় বৈশিষ্ট্যটি সহগামী কারণ এখানে অনুঢ়াশব্দের দ্বারা নির্দেশিত ব্যক্তির একটি সাধারণ বৈশিষ্ট্যের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
৪:- সংজ্ঞার্থ জ্ঞাপক বৈশিষ্ট্যের মধ্যে কোন পরিবর্তন ঘাটলে কোন বস্তু তার অভিন্নতা সত্ত্বা বজায় রাখতে পারেনা। পৃথক বস্তুতে রূপান্তরিত হয়। কিন্তু সহগামি বৈশিষ্ট্যের মধ্যে কোন পরিবর্তন ঘটলেও বস্তুর অভিন্ন সত্ত্বা বজায় থাকে। যেমন:- আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার বলতে বোঝায় যারা আন্তর্জাতিক স্তরে ক্রিকেট খেলেছে । এটি সংজ্ঞার্থ জ্ঞাপক বৈশিষ্ট কারণ এ বৈশিষ্ট্যের পরিবর্তন ঘটলে তাকে আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার বলা যায়না।আর যদি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার বলতে বোঝানো হয় যার আন্তর্জাতিক পরিচয় রয়েছে।সে ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক পরিচয় না থাকলেও তা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার হওয়া সত্ত্বেও কোন সমস্যা থাকে না। ফলে এটি সহগামী বৈশিষ্ট কারণ বস্তুর অভিন্ন সত্ত্বায় কোন পরিবর্তন ঘটে না।
_ _ _ _
West Bengal Primary TET Practice Sets In Bengali
:- সংজ্ঞা জ্ঞাপক বৈশিষ্ট্যের সাথে সহগামী বৈশিষ্ট্যের কিছু পার্থক্য রয়েছে যথা-
১:- কোন শব্দের সংজ্ঞা দিতে গেলে শব্দ দ্বারা সূচিত বৈশিষ্ট্যের কথা উল্লেখ করতে হয়। সংজ্ঞা তে সেইসব বৈশিষ্ট্যের কথা উল্লেখ করতে হয় যে গুলিকে আমরা ঐ বস্তু টির জ্ঞাপক বলে মনে করি।যে বৈশিষ্ট্যের অনুপস্থিতিতে বস্তুটি যে শব্দের দ্বারা সূচিত হয় সেই শব্দ আর ঐ বস্তুর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হতে পারে না।এখানে বস্তু বলতে দ্রব্যগুণ ক্রিয়া সম্বন্ধে ইত্যাদিকে বোঝানো হয় যেমন
জীব বৃত্তি ও বুদ্ধিবৃত্তি মানুষের সংজ্ঞার্থ জ্ঞাপক বৈশিষ্ট্য যার মধ্যে জীব বৃত্তি ও বুদ্ধিবৃত্তি নেই তাকে মানুষ বলা যাবেনা। কিন্তু যদি বলা হয় মানুষ দ্বিপদ বিশিষ্ট জীব সে ক্ষেত্রে দ্বিপদ বিশিষ্ট না হলেও তাকে মানুষ বলা যায়না। তাই এটি সংজ্ঞার্থ জ্ঞাপক বৈশিষ্ট্য নয়।
অপরদিকে সহগামী বৈশিষ্ট্য বলতে বোঝায়কোন বস্তুর সেগুন গুলিকে যেগুলি অপরিহার্য নয় সেগুলি অনুপস্থিতি থাকা সত্বেও বস্তুটিকে নিজ নামে অভিহিত করা যায়। যেমন
মানুষ 6ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট হয় এক্ষেত্রে 6 ফুট উচ্চতা না থাকলেও তাকে মানুষ রূপে অভিহিত করা যায়। সুতরাং তা সহগামী বৈশিষ্ট্য
২:- কোন বৈশিষ্ট্য সংজ্ঞার্থ জ্ঞাপক নাকি সহগামী তা নির্ধারণ করার অন্যতম উপায় হল সংশ্লিষ্ট বস্তুর মধ্যেওই বৈশিষ্ট্যের অভাব ঘটলে বস্তুটিকে পূর্বে যে শব্দের দ্বারা সূচিত করা হতো বর্তমানে শব্দের দ্বারা সূচিত করা যায় কিনা তা খতিয়ে দেখা।যদি দেখা যায় ওই বৈশিষ্ট্যের অভাব ঘটলে বস্তুটিকে আর সে বস্তু বলে গণ্য করা যায় না তা হবে সংজ্ঞার্থ জ্ঞাপক বৈশিষ্ট্য। যেমন:-।
চারটি বাহু অসমান হলেও একটি চতুর্ভুজ কে চতুর্ভুজ বলে গণ্য করা যায়। সুতরাং তা হলো চতুর্ভুজ এর সহগামী বৈশিষ্ট্য। কিন্তু চারটি বাহু অসমানহলে একটি বর্গক্ষেত্র কে আর বর্গক্ষেত্র বলে সূচিত করা যায় না সুতরাং তা হবে বর্গক্ষেত্রের সংজ্ঞা জ্ঞাপক বৈশিষ্ট্য।
৩:- সংজ্ঞা জ্ঞাপক বৈশিষ্ট্য কোন শব্দের অর্থ সহিত অনিবার্য ভাবে সংশ্লিষ্ট থাকে কিন্তু সহগামী বৈশিষ্ট্য অনিবার্য ভাবে সংশ্লিষ্ট নয়। তা শুধুমাত্র সূচিত শব্দ সম্পর্কে কিছু ঘোষণা করে যেমন:-
অনুঢ়া বলতে বোঝাই অবিবাহিত কুমারীদের আবার অনেক সময় অনুঢ় বলতে সুন্দরী মেয়েদের বোঝানো হয়। এক্ষেত্রে প্রথম বৈশিষ্ট্যটি সংজ্ঞা জ্ঞাপক, কারণ বিধেয় টি উদ্দেশ্য পদ এর অন্তর্ভুক্ত। অর্থাৎ তা অর্থের সহীত অনিবার্য ভাবে সংশ্লিষ্ট।কিন্তু দ্বিতীয় বৈশিষ্ট্যটি সহগামী কারণ এখানে অনুঢ়াশব্দের দ্বারা নির্দেশিত ব্যক্তির একটি সাধারণ বৈশিষ্ট্যের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
৪:- সংজ্ঞার্থ জ্ঞাপক বৈশিষ্ট্যের মধ্যে কোন পরিবর্তন ঘাটলে কোন বস্তু তার অভিন্নতা সত্ত্বা বজায় রাখতে পারেনা। পৃথক বস্তুতে রূপান্তরিত হয়। কিন্তু সহগামি বৈশিষ্ট্যের মধ্যে কোন পরিবর্তন ঘটলেও বস্তুর অভিন্ন সত্ত্বা বজায় থাকে। যেমন:- আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার বলতে বোঝায় যারা আন্তর্জাতিক স্তরে ক্রিকেট খেলেছে । এটি সংজ্ঞার্থ জ্ঞাপক বৈশিষ্ট কারণ এ বৈশিষ্ট্যের পরিবর্তন ঘটলে তাকে আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার বলা যায়না।আর যদি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার বলতে বোঝানো হয় যার আন্তর্জাতিক পরিচয় রয়েছে।সে ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক পরিচয় না থাকলেও তা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার হওয়া সত্ত্বেও কোন সমস্যা থাকে না। ফলে এটি সহগামী বৈশিষ্ট কারণ বস্তুর অভিন্ন সত্ত্বায় কোন পরিবর্তন ঘটে না।
_ _ _ _
West Bengal Primary TET Practice Sets In Bengali
No comments:
Post a Comment