সত্যতা সম্পর্কে সং শক্তি মতবাদ আলোচনা করো?
:- সত্যতা কথাটি বিভিন্ন অর্থে ব্যবহার হয়। প্রথমত সততা বলতে আমরা অনেক সময় খাঁটি বা আসলবুঝে থাকি। যেমন এটি সত্যি কারের সোনা। দ্বিতীয়ত অনেক সময় আমরা কোন বিষয়ের প্রতি অধিক গুরুত্ব আরোপ করতে গিয়েও সত্যতা কথাটি ব্যবহার করে থাকি। যেমন তিনি একজন সত্যিকারের দেশ প্রেমিক প্রেমিক। তৃতীয়তঃ সত্যতা বলতে আমরা অনেক সময়কোন বচ্চনের বিশেষ গুণ বা বৈশিষ্ট্য কে সূচিত করি। যেমন সত্য নির্বাচন অবাধ শান্তিপূর্ণ হওয়া প্রয়োজন।
বচন এর সত্যতা বলতে কী বোঝায় এবিষয়ে বচ্চন দিতে গিয়ে অধ্যাপক হসপার্স জাগতিক পরিস্থিতি সাহায্য নিয়েছেন।জগতে যা কিছু ঘটেছে সেগুলির সমস্ত কিছুই জাগতিক পরিস্থিতির অন্তর্গত। যেমন সুমেরু অঞ্চল বরফে ঢাকা। 2019 সালে ভারত ও শ্রীলংকার ক্রিকেট ম্যাচ হয়েছিল। এগুলি একেকটি জাগতিক পরিস্থিতি। আমরা ভাষায় প্রকাশ করি বা না করি তাতে কিছু যায় আসে না তাই হস পার্স বলেন ঘটেছে কিংবা ঘটছে এইরূপ জাগতিক পরিস্থিতির কোনো বর্ণনা বচনে থাকলে বচ্চন টি সত্য বলে বিবেচিত হবে। সত্যর স্বরূপও মানদন্ড সম্পর্কে দার্শনিক আলোচনা গুলি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় এ বিষয়ে বিভিন্ন দার্শনিক মত প্রচলিত রয়েছে। যথা শত প্রতীতিবাদ , ও অনুরুপতাবাদ, প্রায়োগিক মতবাদ এবং সংসক্তি বাদ। আমরা এখানে সংসক্তি বাদ নিয়ে আলোচনা করব:-
হেগেল এবং হেগেল প্রান্তি দার্শনিক যেমন ব্রাডলি বোসাংকোয়েট প্রমূখ হলেন সংসক্তি তত্ত্বের সমার্থক। সংসক্তি মতবাদ সত্যতা সম্পর্কে অনুরুপা বাদের বিপরীত মতবাদ। অনুরূপ তা বাদীদের মতে কোন বচন এর সত্যতা নির্ভর করে তার অনুরূপ বাস্তব পরিস্থিতির ওপর। কোন বচন বা বিশ্বাস সত্য একথার অর্থ হল তার অনুরুপা বাস্তব পরিস্থিতি রয়েছে। আর যদি তার অনুরূপ বাস্তব পরিস্থিতি না থাকে তাহলে মিথ্যা বলে বিবেচিত হবে।কিন্তু সং শক্তিবাদ অনুসারে কোন বচন এর সত্যতা বচ্চনের সঙ্গে বাস্তবের অনুরুপা তার ওপর নির্ভর করে না। বরং কোন বচন এর সত্যতা নির্ভর করে বিভিন্ন বচনের পারস্পারিক সম্বন্ধের উপর।কোন বচন সত্য কথার অর্থ হল বচনটি অন্যান্য বচ্চনের সঙ্গে সম্বন্ধযুক্ত হয়ে একটি সুসংবদ্ধ বচ্চন মণ্ডলী গড়ে তুলতে সক্ষম। সং শক্তির অপর নাম হলো সততা।সংসক্তি সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলা হয় তা হল কোন বচন বচন সমষ্টির এমন এক প্রকার সম্বন্ধে যে সমষ্টির অন্তর্গত কোন বচন মিথ্যা হতে পারেনা। যদি অনুরূপ বচ্চন গুলি সত্য হয় এবং কোন বচন অন্য বচন থেকে স্বাধীন না হয়।
অধ্যাপক হসপার্স সং শক্তির সম্বন্ধে নিম্নোক্ত দৃষ্টান্তে র সাহায্যে বর্ণনা করেছেন কেউ কাউকে চেনে না এমন পাঁচজন ব্যক্তি যদি সাক্ষ্য দেই যে তারা গত রবিবার সন্ধ্যায় মিস্টার জজকে দিল্লিতে দেখেছেন তাহলে তাদের বিবরণ এর মধ্যে মিল আছে।অনুরূপ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত না হয়ে যদি তারা সকলে একই কথা বলে তাহলে তাদের একজনের সাক্ষ্য অপরজনকে সমর্থন করে। তবে এ ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় লক্ষ রাখতে হবে যেমন-
১: সমস্ত সাক্ষীর সাক্ষ্য যেন একই সাথে গ্রহণ করা হয়।
২: সাক্ষীদের সাক্ষ্য দেওয়ার স্বপক্ষে যেন উপযুক্ত যুক্তি থাকে।
৩: তাদের মধ্যে থেকে কোন পারস্পারিক বিরোধী অভিমত বা বিবৃতি যেন ওঠে না আসে।
এভাবে তাদের একজনের অভিমত অপর জনের অভিমত কে সমর্থন করে যে বচন মন্ডলী গড়ে তোলে তা মূল বচনটিকে সত্য বলে প্রতিষ্ঠা করতে পারে।প্রাত্যহিক জীবনযাত্রা এমনকি ঐতিহাসিক বচনের ক্ষেত্রে শক্তির সাহায্যে আমরা বচন এর সত্যতা নির্ধারণ করে থাকি।
সমালোচনা :- সংসক্তি তত্ত্বের বিরুদ্ধে বেশ কিছু আপত্তি লক্ষ্য করা যায় যথা-
১: প্রদত্ত দৃষ্টান্তের পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় মিস্টার দিল্লিতে এসেছিলেন; এ বিষয়ে সমস্ত সাক্ষী সাক্ষ্য একই সাথে গৃহীত হলো তা বচন টিকে সত্য বলে প্রতিষ্ঠা করতে পারেনা।কেননা এমন হতেই পারে যে প্রত্যেক সাক্ষী অন্য কোন ব্যক্তিকে ভ্রান্ত ভাবে মিস্টার জলে ভুল করছেন।
২:- এক্ষেত্রে সাক্ষীদের বিবৃতির সত্যতা কিসের উপর নির্ভর করে? যদি এগুলি সত্যতা অন্য বোতলের উপর নির্ভর করে তাহলে অন অবস্থা দোস্ত ঘটবে কারণ ক বচন এর সত্যতা থ বচ্চন মন্ডলীর ওপর , খ বচ্চন মন্ডলীর সত্যতা গ বচন মন্ডলীর ওপর নির্ভর করে নির্ধারণ করে চললে মূল বচ্চনের নিশ্চিত সত্যতা ই উপনীত হওয়া সম্ভব নয়।
৩:- সব বচ্চনের সত্যতা সং শক্তির উপর নির্ভর করে এমন বলা যায়না। কেননা এ পূর্ব স্বীকৃত সত্য হিসেবে বিরোধ বাধক নিয়মের সত্য তাকে মেনে নিতে হবে তা না হলে দুটি পরস্পর বিরুদ্ধ বচ্চনের ক্ষেত্রেও সং শক্তির প্রয়োগ ঘটবে।
Kirans Railway (Rrbs) Group Level-1
:- সত্যতা কথাটি বিভিন্ন অর্থে ব্যবহার হয়। প্রথমত সততা বলতে আমরা অনেক সময় খাঁটি বা আসলবুঝে থাকি। যেমন এটি সত্যি কারের সোনা। দ্বিতীয়ত অনেক সময় আমরা কোন বিষয়ের প্রতি অধিক গুরুত্ব আরোপ করতে গিয়েও সত্যতা কথাটি ব্যবহার করে থাকি। যেমন তিনি একজন সত্যিকারের দেশ প্রেমিক প্রেমিক। তৃতীয়তঃ সত্যতা বলতে আমরা অনেক সময়কোন বচ্চনের বিশেষ গুণ বা বৈশিষ্ট্য কে সূচিত করি। যেমন সত্য নির্বাচন অবাধ শান্তিপূর্ণ হওয়া প্রয়োজন।
বচন এর সত্যতা বলতে কী বোঝায় এবিষয়ে বচ্চন দিতে গিয়ে অধ্যাপক হসপার্স জাগতিক পরিস্থিতি সাহায্য নিয়েছেন।জগতে যা কিছু ঘটেছে সেগুলির সমস্ত কিছুই জাগতিক পরিস্থিতির অন্তর্গত। যেমন সুমেরু অঞ্চল বরফে ঢাকা। 2019 সালে ভারত ও শ্রীলংকার ক্রিকেট ম্যাচ হয়েছিল। এগুলি একেকটি জাগতিক পরিস্থিতি। আমরা ভাষায় প্রকাশ করি বা না করি তাতে কিছু যায় আসে না তাই হস পার্স বলেন ঘটেছে কিংবা ঘটছে এইরূপ জাগতিক পরিস্থিতির কোনো বর্ণনা বচনে থাকলে বচ্চন টি সত্য বলে বিবেচিত হবে। সত্যর স্বরূপও মানদন্ড সম্পর্কে দার্শনিক আলোচনা গুলি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় এ বিষয়ে বিভিন্ন দার্শনিক মত প্রচলিত রয়েছে। যথা শত প্রতীতিবাদ , ও অনুরুপতাবাদ, প্রায়োগিক মতবাদ এবং সংসক্তি বাদ। আমরা এখানে সংসক্তি বাদ নিয়ে আলোচনা করব:-
হেগেল এবং হেগেল প্রান্তি দার্শনিক যেমন ব্রাডলি বোসাংকোয়েট প্রমূখ হলেন সংসক্তি তত্ত্বের সমার্থক। সংসক্তি মতবাদ সত্যতা সম্পর্কে অনুরুপা বাদের বিপরীত মতবাদ। অনুরূপ তা বাদীদের মতে কোন বচন এর সত্যতা নির্ভর করে তার অনুরূপ বাস্তব পরিস্থিতির ওপর। কোন বচন বা বিশ্বাস সত্য একথার অর্থ হল তার অনুরুপা বাস্তব পরিস্থিতি রয়েছে। আর যদি তার অনুরূপ বাস্তব পরিস্থিতি না থাকে তাহলে মিথ্যা বলে বিবেচিত হবে।কিন্তু সং শক্তিবাদ অনুসারে কোন বচন এর সত্যতা বচ্চনের সঙ্গে বাস্তবের অনুরুপা তার ওপর নির্ভর করে না। বরং কোন বচন এর সত্যতা নির্ভর করে বিভিন্ন বচনের পারস্পারিক সম্বন্ধের উপর।কোন বচন সত্য কথার অর্থ হল বচনটি অন্যান্য বচ্চনের সঙ্গে সম্বন্ধযুক্ত হয়ে একটি সুসংবদ্ধ বচ্চন মণ্ডলী গড়ে তুলতে সক্ষম। সং শক্তির অপর নাম হলো সততা।সংসক্তি সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলা হয় তা হল কোন বচন বচন সমষ্টির এমন এক প্রকার সম্বন্ধে যে সমষ্টির অন্তর্গত কোন বচন মিথ্যা হতে পারেনা। যদি অনুরূপ বচ্চন গুলি সত্য হয় এবং কোন বচন অন্য বচন থেকে স্বাধীন না হয়।
অধ্যাপক হসপার্স সং শক্তির সম্বন্ধে নিম্নোক্ত দৃষ্টান্তে র সাহায্যে বর্ণনা করেছেন কেউ কাউকে চেনে না এমন পাঁচজন ব্যক্তি যদি সাক্ষ্য দেই যে তারা গত রবিবার সন্ধ্যায় মিস্টার জজকে দিল্লিতে দেখেছেন তাহলে তাদের বিবরণ এর মধ্যে মিল আছে।অনুরূপ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত না হয়ে যদি তারা সকলে একই কথা বলে তাহলে তাদের একজনের সাক্ষ্য অপরজনকে সমর্থন করে। তবে এ ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় লক্ষ রাখতে হবে যেমন-
১: সমস্ত সাক্ষীর সাক্ষ্য যেন একই সাথে গ্রহণ করা হয়।
২: সাক্ষীদের সাক্ষ্য দেওয়ার স্বপক্ষে যেন উপযুক্ত যুক্তি থাকে।
৩: তাদের মধ্যে থেকে কোন পারস্পারিক বিরোধী অভিমত বা বিবৃতি যেন ওঠে না আসে।
এভাবে তাদের একজনের অভিমত অপর জনের অভিমত কে সমর্থন করে যে বচন মন্ডলী গড়ে তোলে তা মূল বচনটিকে সত্য বলে প্রতিষ্ঠা করতে পারে।প্রাত্যহিক জীবনযাত্রা এমনকি ঐতিহাসিক বচনের ক্ষেত্রে শক্তির সাহায্যে আমরা বচন এর সত্যতা নির্ধারণ করে থাকি।
সমালোচনা :- সংসক্তি তত্ত্বের বিরুদ্ধে বেশ কিছু আপত্তি লক্ষ্য করা যায় যথা-
১: প্রদত্ত দৃষ্টান্তের পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় মিস্টার দিল্লিতে এসেছিলেন; এ বিষয়ে সমস্ত সাক্ষী সাক্ষ্য একই সাথে গৃহীত হলো তা বচন টিকে সত্য বলে প্রতিষ্ঠা করতে পারেনা।কেননা এমন হতেই পারে যে প্রত্যেক সাক্ষী অন্য কোন ব্যক্তিকে ভ্রান্ত ভাবে মিস্টার জলে ভুল করছেন।
২:- এক্ষেত্রে সাক্ষীদের বিবৃতির সত্যতা কিসের উপর নির্ভর করে? যদি এগুলি সত্যতা অন্য বোতলের উপর নির্ভর করে তাহলে অন অবস্থা দোস্ত ঘটবে কারণ ক বচন এর সত্যতা থ বচ্চন মন্ডলীর ওপর , খ বচ্চন মন্ডলীর সত্যতা গ বচন মন্ডলীর ওপর নির্ভর করে নির্ধারণ করে চললে মূল বচ্চনের নিশ্চিত সত্যতা ই উপনীত হওয়া সম্ভব নয়।
৩:- সব বচ্চনের সত্যতা সং শক্তির উপর নির্ভর করে এমন বলা যায়না। কেননা এ পূর্ব স্বীকৃত সত্য হিসেবে বিরোধ বাধক নিয়মের সত্য তাকে মেনে নিতে হবে তা না হলে দুটি পরস্পর বিরুদ্ধ বচ্চনের ক্ষেত্রেও সং শক্তির প্রয়োগ ঘটবে।
Kirans Railway (Rrbs) Group Level-1
No comments:
Post a Comment