1- টেলিফোন এক্সচেঞ্জ অপারেটার এর উপমা?
:- →কাল পিয়ারসন তার দা গভর্মেন্ট অফ সাইন্স গ্রন্থে লোকের মতবাদ কে টেলিফোন এক্সচেঞ্জের সাথে তুলনা করেছেন। মন যেন একটা টেলিফোন এক্সচেঞ্জের মতো,আর প্রত্যেক মানুষ যেন ওই এক্সচেঞ্জের এক একজন জন অপারেটর।বাহ্য জগতের খবরা-খবর বা সংবাদ আমাদের সামনে কয়েকটি তারের মাধ্যমে উপস্থিত হয়।দূর্ভাষী যারা কথা বলেন তাদের কোন একজনকে আমরা দেখতে পায় না আমরা কেবল তার সংলগ্ন প্রান্তে তার কণ্ঠস্বর শুনতে পায় একজন যে কথা বলতে চাই সে খবর পাই আমরা একগুচ্ছ তারের মাধ্যমে।এক্ষেত্রে এক্সচেঞ্জ অফিসের বাইরে যারা পরস্পর কথা বিনিময় করে কেউ কাউকে দেখে না । সংযোগ স্থাপন অপারেটরে রূপে জগৎটা এক্সচেঞ্জ অফিসের মাধ্যমে সীমাবদ্ধ । অফিসের বাইরে কি আছে বা কারা আছে তা আমরা সরাসরি জানিনা । এভাবে বাহ্যজগত থেকে আগত উদ্দীপনা কতকগুলি অন্তর্মুখী স্নায়ুর মাধ্যমে আমাদের মস্তিষ্কের বাহিত হলে ইন্দ্রিয় সংবেদন সৃষ্টি হয় ।একগুচ্ছ স্নায়ুর মাধ্যমে আবার সেই উদ্দীপনা দেহের বিভিন্নপেসিতে প্রবাহিত হলে দেহে গতির সঞ্চার হয় । আমরা প্রত্যক্ষভাবে কেবল ইন্দ্রিয় সংবেদন বা স্নায়ুর উদ্দীপনাকে জানতে পারি, বাহ্য জগৎ কে জানতে পারি না। ইন্দ্রিয় অভিজ্ঞতার বাইরে কী আছে তা আমাদের পক্ষে জানা সম্ভব নয় ,আমাদের জ্ঞান ইন্দ্রিয় গ্রাহ্য জগতের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ।
পিয়ারসন বললেন টেলিফোন এক্সচেঞ্জ অফিসের কর্মীদের অপেক্ষাও আমাদের জ্ঞানের পরিধি সংকীর্ণ। টেলিফোন অপারেটর তার অফিসে থাকাকালীন অবস্থায় দূর্ভাষে তারা কথা বিনিময় করে তাদের সরাসরি দেখতে না পেলেও অফিস ছুটির পর তাদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে বা স্থাপন করতে পারে। কিন্তু ইন্দ্রিয় অভিজ্ঞতার ক্ষেত্রে এমন কোন সম্ভাবনা থাকে না ,ইন্দ্রিয় অভিজ্ঞতাকে অতিক্রম করে ব্যক্তিবিশেষ কোন কিছুই জানতে পারেনা ,বিজ্ঞানভিত্তিক এই বর্ণনা অনুসারে নানা ঘটনার কার্যকরণ সর্বশেষ কার্যটি হল ইন্দ্রিয় অভিজ্ঞতা । আমরা শুধুমাত্র এই সর্বশেষ কার্য ইন্দ্রিয় অভিজ্ঞতাকেই জানতে পারি। যদি শুধুমাত্র ইন্দ্রিয় অভিজ্ঞতায় একমাত্রজানার বিষয় হয় তাহলে তাদের তথাকথিত কারণ সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান সম্ভব হয়না। ইন্দ্রিয় অভিজ্ঞতার সীমানা আমাদের পক্ষে লংঘন করা সম্ভব নয়।আর ইন্দ্রিয় অভিজ্ঞতার মাধ্যমে জ্ঞাত জগতের কারণকে জানা সম্ভব নয়।এই কারণেই প্রতিরূপী বস্তুবাদ জগতের ব্যাখ্যার ক্ষেত্রে পূর্ণ গ্রহণযোগ্য মতবাদ নয়।
:- →কাল পিয়ারসন তার দা গভর্মেন্ট অফ সাইন্স গ্রন্থে লোকের মতবাদ কে টেলিফোন এক্সচেঞ্জের সাথে তুলনা করেছেন। মন যেন একটা টেলিফোন এক্সচেঞ্জের মতো,আর প্রত্যেক মানুষ যেন ওই এক্সচেঞ্জের এক একজন জন অপারেটর।বাহ্য জগতের খবরা-খবর বা সংবাদ আমাদের সামনে কয়েকটি তারের মাধ্যমে উপস্থিত হয়।দূর্ভাষী যারা কথা বলেন তাদের কোন একজনকে আমরা দেখতে পায় না আমরা কেবল তার সংলগ্ন প্রান্তে তার কণ্ঠস্বর শুনতে পায় একজন যে কথা বলতে চাই সে খবর পাই আমরা একগুচ্ছ তারের মাধ্যমে।এক্ষেত্রে এক্সচেঞ্জ অফিসের বাইরে যারা পরস্পর কথা বিনিময় করে কেউ কাউকে দেখে না । সংযোগ স্থাপন অপারেটরে রূপে জগৎটা এক্সচেঞ্জ অফিসের মাধ্যমে সীমাবদ্ধ । অফিসের বাইরে কি আছে বা কারা আছে তা আমরা সরাসরি জানিনা । এভাবে বাহ্যজগত থেকে আগত উদ্দীপনা কতকগুলি অন্তর্মুখী স্নায়ুর মাধ্যমে আমাদের মস্তিষ্কের বাহিত হলে ইন্দ্রিয় সংবেদন সৃষ্টি হয় ।একগুচ্ছ স্নায়ুর মাধ্যমে আবার সেই উদ্দীপনা দেহের বিভিন্নপেসিতে প্রবাহিত হলে দেহে গতির সঞ্চার হয় । আমরা প্রত্যক্ষভাবে কেবল ইন্দ্রিয় সংবেদন বা স্নায়ুর উদ্দীপনাকে জানতে পারি, বাহ্য জগৎ কে জানতে পারি না। ইন্দ্রিয় অভিজ্ঞতার বাইরে কী আছে তা আমাদের পক্ষে জানা সম্ভব নয় ,আমাদের জ্ঞান ইন্দ্রিয় গ্রাহ্য জগতের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ।
পিয়ারসন বললেন টেলিফোন এক্সচেঞ্জ অফিসের কর্মীদের অপেক্ষাও আমাদের জ্ঞানের পরিধি সংকীর্ণ। টেলিফোন অপারেটর তার অফিসে থাকাকালীন অবস্থায় দূর্ভাষে তারা কথা বিনিময় করে তাদের সরাসরি দেখতে না পেলেও অফিস ছুটির পর তাদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে বা স্থাপন করতে পারে। কিন্তু ইন্দ্রিয় অভিজ্ঞতার ক্ষেত্রে এমন কোন সম্ভাবনা থাকে না ,ইন্দ্রিয় অভিজ্ঞতাকে অতিক্রম করে ব্যক্তিবিশেষ কোন কিছুই জানতে পারেনা ,বিজ্ঞানভিত্তিক এই বর্ণনা অনুসারে নানা ঘটনার কার্যকরণ সর্বশেষ কার্যটি হল ইন্দ্রিয় অভিজ্ঞতা । আমরা শুধুমাত্র এই সর্বশেষ কার্য ইন্দ্রিয় অভিজ্ঞতাকেই জানতে পারি। যদি শুধুমাত্র ইন্দ্রিয় অভিজ্ঞতায় একমাত্রজানার বিষয় হয় তাহলে তাদের তথাকথিত কারণ সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান সম্ভব হয়না। ইন্দ্রিয় অভিজ্ঞতার সীমানা আমাদের পক্ষে লংঘন করা সম্ভব নয়।আর ইন্দ্রিয় অভিজ্ঞতার মাধ্যমে জ্ঞাত জগতের কারণকে জানা সম্ভব নয়।এই কারণেই প্রতিরূপী বস্তুবাদ জগতের ব্যাখ্যার ক্ষেত্রে পূর্ণ গ্রহণযোগ্য মতবাদ নয়।
No comments:
Post a Comment