লোকের প্রতিরূপী বা বৈজ্ঞানিক বস্তুবাদ আলোচনা করো?
:-→যে মতবাদে বস্তুর জ্ঞান নিরপেক্ষ অস্তিত্ব স্বীকার করা হলোও বস্তুর সাক্ষাৎ জ্ঞান স্বীকার করা হয় না। বরং বলা হয় বস্তুকে পরোক্ষভাবে প্রতিরূপ এর মাধ্যমে জানতে হয় সেই মতবাদকে প্রতিরূপী বস্তুবাদ বলে। প্রতিরূপী বস্তুবাদ এর মূল বক্তব্য গুলি হল-
১/যে জগতে আমরা বসবাস করি সেখানে নদী পাহাড় ,টেবিল-চেয়ার প্রভৃতি বস্তুর অস্তিত্ব রয়েছে ।
২/বস্তুর অস্তিত্ব ও স্বরূপ আমাদের জানা না জানার উপর নির্ভর করে না।
৩/বস্তুকে আমরা সাক্ষাৎ প্রত্যক্ষে জানিনা, জানি পরোক্ষভাবে প্রতিরূপ বা ধারণার মাধ্যমে।
৪/আমাদের মন হল স্বচ্ছ পর্দার মতো সেখানে বস্তুর গুণের ধারণা বা প্রতিরূপ গুলি প্রতিফলিত হয়।
লক প্রবর্তিত প্রতিরূপী বস্তুবাদ এর প্রথম এবং দ্বিতীয় বক্তব্য সরল বস্তুবাদ এর সাথে অভিন্ন ।পরবর্তীঅভিমত গুলি সম্পর্কে তাদের সরল বস্তুবাদ এর সাথে পার্থক্য রয়েছে। তারা দাবি করেন সরল বস্তুবাদ ভ্রান্ত প্রত্যক্ষ আমাদের জ্ঞানের সত্য-মিথ্যা বিচারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। তাই লোক বলেন আমরা সাক্ষাৎ ভাবে বস্তুর যেপ্রতিরূপ বা ধারণাগুলিকে জানি তার থেকে পরোক্ষভাবে বস্তুকে জেনে থাকি। প্রতিরূপের সহিত বাহ্য বস্তুর মিল থাকলে জ্ঞান সত্য হয়, আমার প্রতি রূপের সহীত বস্তুর মিল না থাকলে জ্ঞান মিথ্যা হয়। এর কারণ হিসেবে বস্তুর দুই প্রকার ধর্মের কথা বলা যায় যথা:-
১. গুণমুখ্য গুণ এবং ২. গৌণ গুণ। মুখ্য গুণ গুলি বস্তু নিজস্ব ধর্ম বলে তার আধার রূপে বস্তুকে জানলে জ্ঞান সত্য হয় । আর গৌণ গুণ গুলি মনোগত ধর্ম বলে তার আধার রূপে বস্তুকে জানলে জ্ঞান মিথ্যা হয়। এই গুণ বিভাজন তৎকালীন বৈজ্ঞানিক
চিন্তাধারার ওপর প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় এই মতবাদকে বৈজ্ঞানিক বস্তুবাদ বলে।
:-→যে মতবাদে বস্তুর জ্ঞান নিরপেক্ষ অস্তিত্ব স্বীকার করা হলোও বস্তুর সাক্ষাৎ জ্ঞান স্বীকার করা হয় না। বরং বলা হয় বস্তুকে পরোক্ষভাবে প্রতিরূপ এর মাধ্যমে জানতে হয় সেই মতবাদকে প্রতিরূপী বস্তুবাদ বলে। প্রতিরূপী বস্তুবাদ এর মূল বক্তব্য গুলি হল-
১/যে জগতে আমরা বসবাস করি সেখানে নদী পাহাড় ,টেবিল-চেয়ার প্রভৃতি বস্তুর অস্তিত্ব রয়েছে ।
২/বস্তুর অস্তিত্ব ও স্বরূপ আমাদের জানা না জানার উপর নির্ভর করে না।
৩/বস্তুকে আমরা সাক্ষাৎ প্রত্যক্ষে জানিনা, জানি পরোক্ষভাবে প্রতিরূপ বা ধারণার মাধ্যমে।
৪/আমাদের মন হল স্বচ্ছ পর্দার মতো সেখানে বস্তুর গুণের ধারণা বা প্রতিরূপ গুলি প্রতিফলিত হয়।
লক প্রবর্তিত প্রতিরূপী বস্তুবাদ এর প্রথম এবং দ্বিতীয় বক্তব্য সরল বস্তুবাদ এর সাথে অভিন্ন ।পরবর্তীঅভিমত গুলি সম্পর্কে তাদের সরল বস্তুবাদ এর সাথে পার্থক্য রয়েছে। তারা দাবি করেন সরল বস্তুবাদ ভ্রান্ত প্রত্যক্ষ আমাদের জ্ঞানের সত্য-মিথ্যা বিচারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। তাই লোক বলেন আমরা সাক্ষাৎ ভাবে বস্তুর যেপ্রতিরূপ বা ধারণাগুলিকে জানি তার থেকে পরোক্ষভাবে বস্তুকে জেনে থাকি। প্রতিরূপের সহিত বাহ্য বস্তুর মিল থাকলে জ্ঞান সত্য হয়, আমার প্রতি রূপের সহীত বস্তুর মিল না থাকলে জ্ঞান মিথ্যা হয়। এর কারণ হিসেবে বস্তুর দুই প্রকার ধর্মের কথা বলা যায় যথা:-
১. গুণমুখ্য গুণ এবং ২. গৌণ গুণ। মুখ্য গুণ গুলি বস্তু নিজস্ব ধর্ম বলে তার আধার রূপে বস্তুকে জানলে জ্ঞান সত্য হয় । আর গৌণ গুণ গুলি মনোগত ধর্ম বলে তার আধার রূপে বস্তুকে জানলে জ্ঞান মিথ্যা হয়। এই গুণ বিভাজন তৎকালীন বৈজ্ঞানিক
চিন্তাধারার ওপর প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় এই মতবাদকে বৈজ্ঞানিক বস্তুবাদ বলে।
No comments:
Post a Comment