শাস্তি প্রদানের উদ্দেশ্য কি??

শাস্তি প্রদানের উদ্দেশ্য কি??
:-    শাস্তি প্রদানের মূল উদ্দেশ্য বা লক্ষ্য দুটি-

১:  অপরাধী অপরাধ মূলক ক্রিয়া সম্পাদনের মাধ্যমে তার চরিত্রের যে নৈতিক অধঃপতন ঘটে তা সমাজকেও কুলুষিত করে এই নৈতিক অধঃপতন রোধ করার জন্য অপরাধীকে শাস্তি দেওয়া প্রয়োজন।



২:- অপরাধমূলক কাজ সামাজিক আইন শৃঙ্খলা কে লংঘন করে।সামাজিক আইন সামাজিক আইন শৃংখলার সব মহিমা বজায় রাখতে হলে অপরাধীর অপরাধ অনুসারে শাস্তিবিধান আবশ্যক।

পিটার সিঙ্গার এর মধ্যে নৈতিকতার মানদন্ড কি?

পিটার সিঙ্গার এর মধ্যে নৈতিকতার মানদন্ড কি?
:- 
       ১:-     সমাজে বসবাস করতে হলে অপরের প্রতি উদাসীন থাকলে চলবে না। নিজের মঙ্গলের সাথে অপরের মঙ্গলের কথা চিন্তা করতে হবে।
 
২:- ব্যবহারিক দৃষ্টিকোণ থেকে নৈতিক বিচারের তাৎপর্য উপলব্ধি করতে হবেঅর্থাৎ মানুষ মাত্রই নিজ প্রজাতির প্রতি বৈষম্যমূলক মনোভাব নিয়ে চলে তা পরিত্যাগ করে প্রত্যেক প্রাণের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে হবে ।

৩:- প্রাণ মাত্রই তা নিজস্ব মূল্যে মূল্যবান সেই কারণেই যে কোন প্রাণী হত্যায় নিন্দনীয় অপরাধ।


৪:- মানুষের যাবতীয় কর্মকান্ড জীবন যাপনের প্রণালী পরিবেশ নির্ভর। তাই প্রাকৃতিক পরিবেশকে সংরক্ষণ করা উচিত।

স্বধর্ম পরধর্ম কী?

স্বধর্ম পরধর্ম কী?
:-  ভারতীয় নীতিশাস্ত্রের চতুর্বর্ণ প্রথা প্রচলিত বর্ণাশ্রম অনুযায়ী প্রত্যেক বর্ণের সুনির্দিষ্ট কর্তব্যকর্ম রয়েছে। যেমন ব্রাহ্মণের কর্তব্য কর্মযজ্ঞ,পূজার্চনা ক্ষত্রিয়দের কর্তব্য কর্ম জাতিকে রক্ষা ও দেশ পরিচালনা করা। এইভাবে কর্তব্য কর্ম সম্পাদন করায় হল স্বধর্ম।

                            চতুর্বর্ণের বিধান অনুযায়ীপরিচালিত না হয়ে সাধারণ ভালো-মন্দ সুখ-দুঃখের পরিপেক্ষিতে কর্ম সম্পাদনের মাধ্যমে ধর্ম পালন করা হলো পরধর্ম।


                           আবার কোন কোন ভারতীয় নীতি তাত্ত্বিক মনে করেন বেদ বিহিত কর্ম সম্পাদন করাই হলো স্বধর্ম আর বেদ নিষিদ্ধ কর্মসম্পাদন করাই হলো পরধর্ম।

নৃ কেন্দ্রিক এবং অনৃ কেন্দ্রিক মতবাদের পার্থক্য লেখ?

নৃ কেন্দ্রিক এবং অনৃ কেন্দ্রিক মতবাদের পার্থক্য লেখ?
:- মানুষের নানা প্রয়োজনে প্রাকৃতিক সম্পদ ধ্বংস করা হচ্ছে,যার পরিণতিতে প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে কিন্তু মানুষের অস্তিত্ব কে বাঁচিয়ে রাখতে হলে প্রাকৃতির প্রতি কিছু দায়িত্ব পালন প্রয়োজন।প্রাকৃতিক সম্পদকে সংযত ভাবে ব্যবহার করা উচিত ।এই ধরনের দৃষ্টিভঙ্গির পরিপেক্ষিতে উদ্ভব ঘটেছে তাকে নৃ কেন্দ্রিক নীতিবিদ্যা বলে। এ ধরনের নীতিশাস্ত্র মনে করেন মানুষের জীবন মানুষের অস্তিত্বের জন্য ই প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণ করা উচিত।


                           অপরের দৃষ্টিভঙ্গি অনুসারে বলা হয় প্রকৃতি বা পরিবেশের প্রতি আমাদের নিঃস্বার্থ কিছু দায়িত্ব কর্তব্য আছে নিজও নিজও স্বার্থের বিবেচনাতে বা শুধুমাত্র মানবজাতির কল্যাণ এর জন্য নয়। সমতামূলক কর্তব্য বাদী দৃষ্টিভঙ্গি পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের পরিবেশের প্রতি কর্তব্য পালন করা উচিত। এ ধরনের দৃষ্টিভঙ্গির পরিপ্রেক্ষিতে গড়ে ওঠা নীতিশাস্ত্র হল অনৃ কেন্দ্রিক নীতিশাস্ত্র।

কৃপাহত্যা কি ? এর প্রকারভেদ লেখ?

কৃপাহত্যা কি ? এর প্রকারভেদ লেখ?
:-   কৃপাহত্যা এর ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো ইউথেনেশিয়া যা দুটি গ্রিক শব্দ নিয়ে গঠিত। যথা-eu-এর অর্থ হল মঙ্গল জনক। এবংthanats  যার অর্থ হলো মৃত্যু প্রাপ্তি।যে কর্মের দ্বারা কোন ব্যক্তির সহজ-সরল কম যন্ত্রণাদায়ক মৃত্যু ঘটানো হয় তাহলো কৃপাহত্যা বা সৌজন্যে মৃত্যু । যখন কোনো ব্যক্তি কে তার যন্ত্রণাদায়ক জীবন থেকে মুক্ত করার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে তার মৃত্যু ঘটানো হয় । সেই মৃত্যু হল ব্যবহারিক নীতিবিদ্যা দৃষ্টিভঙ্গি থেকে কৃপাহত্যা।

               কৃপাহত্যা তিন প্রকার যথা-

১: ঐচ্ছিক কৃপাহত্যা যেখানে ব্যক্তির নিজস্ব ইচ্ছা অনুসারে জীবনের অবসান ঘটে।

২: অনৈচ্ছিক কৃপাহত্যাযেখানে ব্যক্তি যন্ত্রণা পরিবারের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার পরিপেক্ষিতে ব্যক্তির মত না যেনে তার জীবনের অবসান ঘটানো হয়।


৩:- ইচ্ছা নিরপেক্ষ কৃপাহত্যা যেখানে ব্যক্তির ইচ্ছা-অনিচ্ছা প্রকাশের মতো পরিস্থিতি থাকেনা ব্যক্তির কাছে বেঁচে থাকা এবং মৃত্যু দুটিই সমান তাকে ইচ্ছা নিরপেক্ষ কৃপাহত্যা বলে।

শাস্তি প্রদানের উদ্দেশ্য কি??

শাস্তি প্রদানের উদ্দেশ্য কি?? :-    শাস্তি প্রদানের মূল উদ্দেশ্য বা লক্ষ্য দুটি- ১:  অপরাধী অপরাধ মূলক ক্রিয়া সম্পাদনের মাধ্যমে তার চরি...